বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও উচ্চ আয়ের সংগীতশিল্পীর তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন আমেরিকান গায়িকা ও গীতিকার টেইলর সুইফট। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে নিজের সম্পদ প্রায় দ্বিগুণ করে ফেলেছেন এই ৩৫ বছর বয়সী তারকা।
ব্লুমবার্গের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে টেইলর সুইফটের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৮ হাজার ৪৫০ কোটি।
সুইফটের এই বিপুল সম্পদ বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে তাঁর ১২তম স্টুডিও অ্যালবাম “দ্য লাইফ অব আ শোগার্ল” এবং তাঁর ঐতিহাসিক ওয়ার্ল্ড ট্যুর। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই অ্যালবামটি প্রকাশের প্রথম সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৪.০০২ মিলিয়ন ইউনিট, যা অ্যাডেলের ২০১৫ সালের “২৫” অ্যালবামের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
অ্যালবামের পাশাপাশি এর সঙ্গে প্রকাশিত প্রমোশনাল চলচ্চিত্র “দ্য অফিসিয়াল রিলিজ পার্টি অব আ শোগার্ল” উত্তর আমেরিকায় মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই আয় করেছে ৩৩ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৯০ কোটি টাকা)।
টেইলর সুইফটের “ইরাস ট্যুর” এখন পর্যন্ত সংগীত ইতিহাসের সর্বোচ্চ আয় করা ট্যুর। ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২১ মাসে পাঁচ মহাদেশজুড়ে ১৪৯টি শো করে তিনি মাতিয়েছেন ১ কোটি ১০ লাখের বেশি ভক্তকে।
এই ট্যুর থেকেই টিকিট বিক্রি, পণ্য, বিজ্ঞাপন ও অন্যান্য আয় মিলিয়ে রাজস্ব এসেছে ২ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ১৭ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা।
এই ট্যুরকে ঘিরে নির্মিত চলচ্চিত্র “টেইলর সুইফট: দ্য ইরাস ট্যুর” বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ২৬৭.১ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২,৩৪৯ কোটি টাকা)। এছাড়া ডিজনি প্লাস প্ল্যাটফর্মে চলচ্চিত্রটির স্ট্রিমিং অধিকার বিক্রি হয়েছে ৭৫ মিলিয়ন ডলারে (প্রায় ৬৬০ কোটি টাকা)।
আগামী ডিসেম্বরেই মুক্তি পাচ্ছে ট্যুর ভিত্তিক ছয় পর্বের ডকুসিরিজ “দ্য ইরাস ট্যুর: দ্য এন্ড অব অ্যান ইরা” এবং কনসার্ট ফিল্ম “দ্য ইরাস ট্যুর: দ্য ফাইনাল শো” যা মুক্তি পাবে ডিজনি প্লাসে।
ব্লুমবার্গের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে শুধুমাত্র সংগীত থেকেই টেইলর সুইফটের আয় প্রায় ৩,৫১৮ কোটি টাকা। গত দুই বছরে তাঁর সম্পদ ১.৪ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২.১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে- যা তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী সংগীতশিল্পীর আসনে বসিয়েছে।
সংগীত, চলচ্চিত্র, ডিজিটাল কনটেন্ট ও লাইভ পারফরম্যান্স- সব মিলিয়ে টেইলর সুইফট এখন কেবল সঙ্গীত জগতের নয়, বিনোদন শিল্পেরও এক অনন্য ইতিহাস গড়ে তুলেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :