নব্বইয়ের দশকে একের পর এক হিট সিনেমায় দর্শকের হৃদয় জয় করেছিলেন তিনি। এখন আর নিয়মিত পর্দায় দেখা যায় না তাঁকে। গত দুই বছরে কোনো নতুন সিনেমায় অভিনয়ও করেননি। তবু আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছেন অন্য কারণে। তিনি আর কেউ নন- বলিউডের জনপ্রিয় মুখ জুহি চাওলা।
‘হারুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট ২০২ ‘ অনুযায়ী, মাত্র এক বছরে জুহির সম্পদ বেড়েছে ৩ হাজার ১৯০ কোটি রুপি, যা নিয়ে তাঁর মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে অবিশ্বাস্য ৭ হাজার ৭৯০ কোটি রুপি। এতে করে তিনি এখন ভারতের সবচেয়ে ধনী নারী অভিনেত্রী। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
ধনসম্পদে শীর্ষে জুহি, খানদেরও ছাড়িয়ে
একসময় বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের একজন ছিলেন জুহি। আজ তিনি নারী তারকাদের মধ্যে ধনসম্পদে শীর্ষে। সামগ্রিকভাবে বলিউড অভিনেতাদের মধ্যে তিনি আছেন দ্বিতীয় স্থানে। তাঁর ওপরে কেবল শাহরুখ খান- যার সম্পদ ১২ হাজার ৪৯০ কোটি রুপি। জুহির পরে অবস্থান করছেন হৃতিক রোশন (২,১৬০ কোটি), করণ জোহর (১,৮৮০ কোটি) ও অমিতাভ বচ্চন (১,৬৩০ কোটি)।
কেকেআরে সাফল্যের মূল রহস্য
জুহির সম্পদের বড় উৎস ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)-এর দল কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। দীর্ঘদিনের সহ-অভিনেতা ও বন্ধু শাহরুখ খান এবং স্বামী জয় মেহতার সঙ্গে তিনি দলের সহমালিক। তাঁদের প্রতিষ্ঠান- রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট ও দ্য মেহতা গ্রুপের মাধ্যমে মালিকানা ভাগাভাগি করেছেন তাঁরা।
২০২৪ সালের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কেকেআরের ব্র্যান্ড ভ্যালু রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। এককভাবে দলের বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ হাজার ৯১৫ কোটি রুপি।
রুপালি পর্দা থেকে ব্যবসায়িক জগতে
জুহি চাওলার চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৬ সালে ‘সালতানাত’ দিয়ে। এরপর ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’, ‘ডর’, ‘ইয়েস বস’, ‘হাম হ্যায় রাহি প্যায়ার কে’–এর মতো সুপারহিট ছবি উপহার দেন দর্শকদের। নব্বইয়ের দশক ও ২০০০-এর শুরুর দিকে ছিলেন বলিউডের অন্যতম শীর্ষ অভিনেত্রী।
২০১০-এর দশক থেকে সিনেমায় কাজ কমিয়ে আনেন তিনি। সর্বশেষ দেখা গেছে ২০২৩ সালে নেটফ্লিক্সে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ফ্রাইডে নাইট প্ল্যান’-এ, যেখানে সহ-অভিনেতা ছিলেন ইরফান খানের ছেলে বাবিল খান।
আজকের জুহি- এক নতুন পরিচয়
পর্দায় অনিয়মিত হলেও ব্যবসায়িক বুদ্ধিমত্তা দিয়ে নিজেকে তুলেছেন অন্য উচ্চতায়। শুধু সাবেক সুপারস্টার নন, জুহি চাওলা আজ ভারতের সবচেয়ে সফল নারী বিনিয়োগকারী অভিনেত্রী। প্রমাণ করেছেন, সিনেমার আলোয় না থেকেও সাফল্যের ইতিহাস লেখা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :