রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, আড়তগুলোর কর্মচারীরা নরম ইলিশ কেটে লবণ দিয়ে নোনা ইলিশ তৈরি করছেন। মাছের ডিমগুলো আলাদা করে প্লাস্টিকের বক্সে করে সংরক্ষণ করছেন। তবে ঘাটে ১০ থেকে ১৫টি লোনা ইলিশ ও ডিমের আড়ত থাকলেও মাত্র দুটি আড়ত চালু আছে। তাও আবার ইলিশ সরবরাহ কম থাকায় অল্প কিছু পরিমাণ মাছ কাটতে দেখা গেছে। ফলে ডিমের দাম চড়া হওয়ার ক্রেতাদের খালি হাতে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
কুমিল্লা থেকে আসা রিফাত নামে এক ক্রেতা বলেন, ইলিশের ডিমের দাম প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা। আমার পক্ষে ডিম কেনা সম্ভব নয়।
ইলিশের আড়তদার মুসলিম মিয়া বলেন, এখন ইলিশের মৌসুম। এ সময়ে যে পরিমাণ ইলিশ আসার কথা সেই পরিমাণ ইলিশ আসছে না। যার কারণে দামে বেশি। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন এসে লোনা ইলিশের আড়ত পরিচালনা করেন। এবার ইলিশ আমদামি কম হাওয়ায় লোনা ইলিশের মাত্র দুটি আড়ত চালু আছে। সাইজ অনুযায়ী ইলিশের ডিমের কেজি ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।
আড়তদার নুরে আলম বলেন, এ ঘাটে ইলিশ একেবারে কম আসে। এক মণ ইলিশ কাটলে ডিম হয় ৪-৫ কেজি। প্রতি বছর ইলিশের মৌসুমে দেশের স্থান থেকে লোকজন এসে ইলিশের লোনা করতো। এবার ইলিশ কম সরবরাহ কম থাকায় তারা আসছে না। অল্প কিছু ইলিশ থেকে দু-একটি আড়তে ইলিশের লোনা করা হয়। যার কারণে ডিমের দাম বেশি।
লোনা ইলিশ বিক্রেতা আলী আকবর বলেন, ইলিশ কম আসে, দাম বেশি । আগে ১৫টি ঘরে ইলিশ লোনা করতো। এখন দুটি ঘরে লোনা ইলিশ তৈরি করে। তাই ডিমের দাম বেশি।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শবেবরাত সরকার বলেন, চাহিদা অনুযায়ী মাছ কম। যার কারণে ডিমের দাম চড়া। বর্তমানে ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকায় এক কেজি ডিম পাইকারি মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। মাছের আমদানি কমে যাওয়ায় ডিমের দাম বেড়ে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :