নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যেতেই হবে- গিয়াস কাদের


editor প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৩, ২০২৫, ৯:৫৯ অপরাহ্ণ /
নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যেতেই হবে- গিয়াস কাদের

আফছার, চট্টগ্রাম: জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। তিনি বলেন, “নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যেতেই হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।”

রবিবার (১৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি। উপস্থিত ছিলেন সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, প্রেস ক্লাব সদস্য মুস্তফা নঈম, গোলাম মাওলা মুরাদ, মইনুদ্দিন কাদেরী শওকত, রফিকুল ইসলাম সেলিম, সোহাগ কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।

গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, “সংস্কারের ভিত্তি হতে পারে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে মূলনীতি সংবিধানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তা নিয়ে কারও কোনো দ্বিমত নেই। স্বাধীনতার ঘোষণার অনেক দিক ১৯৭২ সালের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এরপর চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল।”

তিনি আরও বলেন, “সিপাহী-জনতার বিপ্লবের পর শহীদ জিয়া পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাক-সংবাদের স্বাধীনতা, এবং আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। এই মূলনীতির ধারায় সংস্কার এগিয়ে নিতে হবে।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রমের প্রশংসা করে বিএনপির এ নেতা বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বে বর্তমান সরকার যেসব ভালো কাজ করছে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। মেধা পাচার রোধে এবং দেশীয় মেধাবীদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে যুক্ত করার পদক্ষেপগুলো ইতিবাচক।”

প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের স্বার্থে প্রফেসর ইউনূস যৌক্তিক কথাই বলেছেন। চীনে প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়া সম্মান বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে।”

গণতন্ত্রে ফেরার দাবিকে জনগণের চাওয়া উল্লেখ করে গিয়াস কাদের বলেন, “প্রফেসর ইউনূস যে সম্ভাব্য সময়ের কথা বলেছেন, সেটিই নির্বাচনের রোডম্যাপ হতে পারে। জরুরি কিছু সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিতে হবে, এটাই জনগণের প্রত্যাশা।”

তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জীবন দেওয়া শহীদদের স্বপ্ন পূরণে বিএনপি দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাবে। আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে জনতার যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, তা অটুট থাকবে।”

সম্প্রীতি ও জাতীয় ঐক্যের বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও দেশের স্বার্থে, অখণ্ডতার প্রশ্নে সবাই এক কাতারে আসতে পারে—এই বার্তাই ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে লাখো মানুষের অংশগ্রহণ প্রমাণ করেছে।”