অনলাইন ডেস্ক: পারিবারিক কলহে বাগেরহাটের সদর উপজেলায় এক ব্যবসায়ী দম্পতি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার বৈটপুর নিজ বসতঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে ঘরের বিছানা থেকে স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ উভয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠায়। ধারণা করা হচ্ছে, মোবাইলে ফোনে কথা বলা নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে প্রথমে স্ত্রী এবং পরে স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পারিবারিক কলহের কারণে স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’
মৃত মো. আবু দাউদ শেখ (৪৫) বৈটপুর এলাকার মৃত আজিজ শেখের ছেলে, তিনি কচুয়া উপজেলার ফতেপুর বাজারে রড-সিমেন্ট ও রাইস মিল ব্যবসায়ী। স্ত্রী কোহেলি সুলতানা লাকি (৪০) গৃহিনী। তাদের মেয়ে একাদশ শ্রেণি এবং ছেলে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বেমরতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নারী ইউপি সদস্য রেকসনা বেগম বলেন, ‘আমি বাড়িতে ছিলাম, আমার কাছে একটা ফোন আসে। আমি শুনতে পেলাম আবু দাউত ও স্ত্রী লাকি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কী করণে করছে, এখন পর্যন্ত জানি না।’
ফয়সাল আহমেদ নামে এক প্রতিবেশী বলেন, ‘গতকাল রাতে মো. আবু দাউদের ঘরের পাশে তার বড় ভাই নিজাম শেখের নাতনির জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে আবু দাউদের ছেলে-মেয়ে গেলেও, তারা স্বামী–স্ত্রী যাননি। কেন যায়নি, এটি নিয়েও নানা গুঞ্জন শোনা গেছে।’তিনি মৃতের ছেলের বরাত দিয়ে আরও বলেন, ‘বুধবার ভোরে মো. আবু দাউদ হাঁটতে বেরিয়ে ছিলেন। পরে হেঁটে এসে নিজ কক্ষে প্রবেশ করে। সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় এক মিস্ত্রি ঘরের কলিং বেল চাপলে ছেলে মো. আল কাইয়ুম এসে দরজা খোলে। পরে বাবা-মায়ের ঘরে ঢুকে দেখে খাটের ওপর মায়ের মরদেহ এবং বাবা ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। পরে স্থানীয়রা মো. আবু দাউদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।’এদিকে এক সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বজনদের কান্নায় আশপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। মৃত দম্পতির ছেলে-মেয়েদের কান্না থামছে না।
আপনার মতামত লিখুন :