[ad_1]
বৃষ্টি পড়তেই খুশি বঙ্গবাসী। আনন্দে শুরু হয়ে গিয়েছে মুখরোচক খাওয়া-দাওয়া। গরমের দাবদাহে কয়েকদিন বিরতি ছিল বাইরের ভাজাভুজি থাকে। আর বাইরের খাবার খেলেই গ্যাস-অম্বল বাধা-ধরা ব্যাপার। অর্থাৎ, একটু বেশি মশলাদার, ভাজাভুজি খেলে শুরু হয়ে যায় বুক জ্বালা, চোঁয়া ঢেকুর দেওয়া। বদহজম হলেই কেউ ঠান্ডা কোল্ড ড্রিংক্স কিনে খেয়ে ফেলেন। বড় বড় ঢেকুর তোলেন, যাতে শরীর থেকে গ্যাস বেরিয়ে যায়। আবার অনেকে ঈষদুষ্ণ জল পান করেন। এতে পায়খানার মাধ্যমে পেট পরিষ্কার হয়ে যায়। আবার পেটের অস্বস্তি কমাতে কেউ কেউ ঠান্ডা জলও খান। কিন্তু বদহজমের সমস্যা এড়াতে কী খাবেন? ঠান্ডা পানীয় নাকি ঈষদুষ্ণ জল?
অ্যান্টাসিড একদম নয়
অনেক সময় শুধু চা-শিঙাড়া খেলেও বদহজম হয়ে যায়। আর একবার চোঁয়া ঢেকুর দিলেই বুঝে যান, এবার দরকার অ্যান্টাসিড। কিন্তু হাতের সামনে সবসময় অ্যান্টাসিড থাকে না। তাছাড়া কথায় কথায় অ্যান্টাসিড খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। তাই অনেকেই ঘরোয়া উপায়ে বদহজমের সমস্যা দূর করতে চান। কেউ জোয়ান চিবিয়ে চোঁয়া ঢেকুর বন্ধ করেন, আবার কেউ জিরের জল খেয়ে। তবে, বদহজমের সমস্যা দূর করতে অনেকেই ঠান্ডা পানীয় কিংবা ঈষদুষ্ণ জলের সাহায্য নেন। কোনটা স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী এবং কোনটি খেলে সহজেই গ্যাস কমবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কোল্ড ড্রিংক্স হল বিষ
অ্যাসিডিটি হলেই কোল্ড ড্রিংক্স কিনে খেয়ে নেওয়া অভ্যাস মোটেই ভাল নয়। ঠান্ডা নরম পানীয়ের মধ্যে সোডা থাকে, যার জেরে ঢেকুর ওঠে। কিন্তু ভুলে যাবেন না যে এই ধরনের পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। অনেক সময় চিনিও বদহজমের জন্য দায়ী হয়। অ্যাসিডিটি হলে যে কোনও ঠান্ডা পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। এমনকি ঠান্ডা জলও খাওয়া উচিত নয়। ঠান্ডা জলের সংস্পর্শে রক্তনালিগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। এতে রক্ত সঞ্চালনে বাধা তৈরি হয়। এতে বদহজমের সমস্যা কমে না, উল্টে খাবারের থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণে বাধা তৈরি হয়।
গরম জল খেলেই কি কমবে অম্বল?
গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমাতে ঠান্ডা জল বা কোল্ড ড্রিংক্সের তুলনায় অনেক বেশি উপকারী ঈষদুষ্ণ জল। তবে। শুধু গরম জল খেলে চলবে না। এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ গরম জলে এক চামচ লেবু রস ও আদার রস মিশিয়ে খান। এছাড়া গরম জলের সঙ্গে জিরে ফুটিয়ে নিন। এই জল খেলেও বদহজম থেকে রেহাই পাবেন।
আপনার মতামত লিখুন :