স্বরূপে ফিরছে ঐতিহাসিক চিলমারী বন্দর


editor প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৭, ২০২৫, ৩:৪৩ অপরাহ্ণ /
স্বরূপে ফিরছে ঐতিহাসিক চিলমারী বন্দর

রংপুর বিভাগের অপেক্ষাকৃত সুবিধাবঞ্চিত কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকার নৌপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে চিলমারী এলাকায় নৌ বন্দর অবকাঠামো সুবিধাদি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দিনের বিখ্যাত গান ‘ওকি গাড়িয়াল ভাই, হাঁকাও গাড়ি তুই চিলমারীর বন্দরে’ যে বন্দর নিয়ে রচিত এককালের সেই ঐতিহাসিক চিলমারী বন্দর অতীতের সেই স্বরূপে ফিরছে। সম্প্রতি চিলমারী নৌ-বন্দর বাস্তবায়নে নেওয়া একটি প্রকল্প (সংশোধিত) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)- এর সভায় অনুমোদন করা হয়েছে। প্রকল্পের নাম ‘চিলমারী এলাকায় (রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারী, নয়ারহাট) নদী বন্দর নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’। এ প্রকল্পের উদ্যোগী মন্ত্রণালয় হলো নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

চিলমারী এলাকায় (রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারী, নয়ারহাট) নদী বন্দর নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্পের মূল ডিপিপি মোট ২৩৫ দশমিক ৫৯ কোটি টাকা (সম্পূর্ণ জিওবি) প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রথমে অনুমোদিত হয়েছিলো। কিন্তু তেমন কোনো বাস্তবায়ন অগ্রগতি না হওয়ায় পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক এর মেয়াদ ০২ (দুই) বছর বাড়িয়ে ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। পরবর্তীতে মোট ৩৩৫ দশমিক ৯৫ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্পের ১ম সংশোধন প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয় এবং ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)- এর সভায় এটি অনুমোদিত হয়। বর্তমানে কিছু নতুন অঙ্গের অন্তর্ভুক্তি, রেট শিডিউল পরিবর্তন, প্রকল্পের বিভিন্ন অঙ্গের পরিমাণ ও ব্যয় হ্রাস/বৃদ্ধি, প্রকল্প মেয়াদ বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে মোট ৩৩৬ দশমিক ০৩ কোটি টাকা (সম্পূর্ণ জিওবি) প্রাক্কলিত ব্যয়ে জুলাই ২০২১ হতে ডিসেম্বর ২০২৫ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য আলোচ্য প্রকল্পটি ১ম সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবিত ১ম সংশোধিত প্রকল্পের উপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিইসি সভার সিদ্ধান্ত প্রতিপালনপূর্বক মোট ৩৩৫ দশমিক ৯৫ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ডিসেম্বর ২০২৫ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য আরডিপিপি পুনর্গঠন করা হয়।

ব্রিটিশ আমলে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাণিজ্য পরিচালিত হতো কুড়িগ্রামের ঐতিহ্যবাহী চিলমারী নৌ-বন্দরটিকে ঘিরে। তৎকালীন জমিদার ও মহাজনরা চিলমারী বন্দর থেকে পণ্য আনা-নেওয়াসহ ব্যবসা পরিচালনা করার পাশাপাশি এই অঞ্চলের উৎপাদিত পণ্য দেশবিদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাতো। সেই সময় ব্রহ্মপুত্র নদ ছিল বিশাল দরিয়ার মতো, ছিল অথৈ পানি। চিলমারী বন্দরে বিশাল আকৃতির পাল তোলা নৌকা ও বড় বড় জাহাজ ভিড়ত। হাজারো মানুষের আনাগোনায় বিশাল কর্মযজ্ঞ চলতো সারা বছরজুড়ে। সেখানে নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ স্থাপিত পাইলট বিট ও এসএসবি স্টেশন ছিল। কিন্তু ভাঙন আর উদ্যোগের অভাবে নৌ-বন্দরটি ধীরে ধীরে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়। কালের বিবর্তনে এবং নদী ভাঙনসহ নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে প্রায় ২০ বছর আগে কার্যত অচল হয়ে পড়ে বন্দরটি এবং বন্দর কেন্দ্রিক অভ্যন্তরীণ ব্যবসা বাণিজ্যিক কার্যক্রম অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ে।

উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রাম জেলার বুড়িমারী এবং সোনাহাট স্থলবন্দর হতে পাথর ও কয়লাবাহী ট্রাকসমূহ সাধারণত যমুনা সেতু হয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। বর্তমানের একাধিক ফেরি চালু হওয়ায় পাথর ও কয়লাবাহী কিছু ট্রাক ফেরির মাধ্যমে চিলমারী বন্দর হয়ে রাজধানীতে যাতায়াত করে। এতে করে প্রায় একশ কিলোমিটার সড়ক পথের ভ্রমণ হ্রাস পায়। এছাড়া, চিলমারী বন্দর দিয়ে কুড়িগ্রামের বেশিরভাগ জনগণ জামালপুর হয়ে টাংগাইল বা ময়মনসিংহ দিয়ে রাজধানীতে যাতায়াত করে থাকে। এতে যাতায়াতে অনেক সময় ও খরচ কম হয়।

চিলমারী বন্দরটি উন্নয়ন করা হলে কুড়িগ্রাম তথা উত্তরাঞ্চলে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। সার্বিক বিবেচনায় সংশোধিত প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। তাছাড়া পরিকল্পনা কমিশনের পরিকল্পনায় নৌরুটের পাড় ভাঙন, নৌযান থেকে সহজে পণ্য ওঠা-নামার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অপর্যাপ্ততা ও নৌযান ল্যান্ডিং স্টেশনের সঙ্গে উপযুক্ত সড়ক সংযোগের অভাব ও পরিবহণ খাতের নানা মাধ্যমের মধ্যে সমন্বয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, পরিবহণ ব্যয় হ্রাসকরণ এবং পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে, যার সাথে চিলমারী এলাকায় নৌ বন্দর অবকাঠামো সুবিধাদি নির্মাণের উদ্যোগটি সংগতিপূর্ণ। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার প্রায় ৬০ লক্ষ জনসংখ্যার জন্য চাহিদার অনুপাতে বিশেষ করে চিলমারী এলাকায় বছরে প্রায় ৩ দশমিক ২৫ লক্ষ যাত্রী ও ১ দশমিক ৫ লক্ষ টন মালামালের সুষ্ঠু ও নিরাপদ ওঠা-নামার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ নদী বন্দর নির্মাণের নিমিত্ত এ প্রকল্প এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে। আয়ব্যয় বিশ্লেষণ অনুযায়ী প্রকল্পটি অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে চিলমারী এলাকায় একটি আধুনিক নদী বন্দর স্থাপিত হবে। এতে উক্ত এলাকায় নৌ-পথে যাত্রী পরিবহণ এবং যাতায়াতকৃত মালামাল নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্নভাবে উঠানামা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘চিলমারী এলাকায় (রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারী, নয়ারহাট) নদী বন্দর নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পটি সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে মোট ৩৩৫ দশমিক ৯৫ কোটি (তিনশত পঁয়ত্রিশ কোটি পঁচানব্বই লক্ষ) টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর নাগাদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) অনুমোদন করে। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস। ফলে আশার আলো দেখা দিয়েছে উত্তরের অবহেলিত জনপদে। প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদনের পর একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘জনগণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও অজ্ঞাত কারণে দীর্ঘদিন ধরে এ প্রকল্পের কাজ হচ্ছিল না। আমরা জনগণের কথা বিবেচনা করে এটি খুঁজে বের করেছি। আশা করছি, এখন এটি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।’ সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রকল্পের মাধ্যমে যেসব কাজ করার কথা ছিল, সেগুলো করা হয়নি। জমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, আরসিসি জেটি ও অ্যাকসেস ব্রিজ নির্মাণ, আরসিসি পেভমেন্ট, তীর রক্ষা ও ড্রেজিংয়ের কাজ— কোনোটিই হয়নি। বিশেষ করে ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সার্বিকভাবে প্রকল্পটির ব্যয় বেড়েছে।’ একনেক বৈঠকসূত্রে জানা যায় একাধিক উপদেষ্টাসহ অনেকেই চিলমারী নদীবন্দর প্রকল্পের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিশেষ করে কুড়িগ্রামে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যেটি ভুটান সরকার করবে বলে এরই মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ভুটান এই অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করলে চিলমারী নদী বন্দরটি অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। ফলে মালামাল পরিবহণ অনেক সহজ হবে।

নদী বন্দর সংশ্লিষ্টরা মনে করেন এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকায় নৌপরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি নৌবাণিজ্য ও অতিক্রমণ প্রটোকলের আওতায় ভারতের আসাম, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ উন্নয়নে অন্যতম কেন্দ্র হতে পারে। চিলমারী বন্দরটি কুড়িগ্রাম জেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র নদের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এর অবস্থান জেলা সদর থেকে দক্ষিণে অবস্থিত। চিলমারীর রমনা রেলস্টেশন থেকে পূর্বপাশে অবস্থিত এ বন্দর এক সময় কৃষিপণ্য বেচাকেনা এবং যাত্রী ও মালামাল পরিবহণের অন্যতম প্রধান স্থানীয় বন্দর হিসেবে পরিচিত ছিল। এ বন্দর মূলত ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ফুলকুমার ও জিনজিরামসহ প্রায় ১৫টি নদীর সাথে সংযুক্ত। ইতিহাস থেকে জানা যায়, একসময় অবিভক্ত ভারতের আসামের ধুবরী, গৌহাটি ও পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার সাথে নৌ-যোগাযোগ ছিল। এখানে কাস্টম স্টেশনও ছিল। পরে দেশ ভাগ ও যমুনা নদীর ভাঙনে দিনে দিনে এ বন্দরের গুরুত্ব কমে যায়। তবে এখনো এ বন্দর এলাকা দিয়ে প্রতিদিন যাত্রীরা যাতায়াত করেন। বিভিন্ন উৎসবে যাত্রী পারাপার বেড়ে যায়।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, এখন চিলমারী ও রৌমারীর মধ্যে প্রতিদিন আট থেকে ৯টি বড় জলযান চলাচল করছে। চিলমারী ও রাজিবপুরের মধ্যেও চলাচল করে কয়েকটি জলযান। এ ছাড়া প্রতিদিন প্রচুর মালামাল এই বন্দরে ওঠানামা করে। বিশেষত বর্ষাকালে বন্দরের ব্যবহার বহু গুণ বেড়ে যায় । ধান, চাল, গম ইত্যাদি পণ্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই বন্দর দিয়ে পরিবহণ করা হয়। পাট, পাটশলা, দেশলাইয়ের কাঁচামাল, তুলা, কাঠ ইত্যাদি এ বন্দর দিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরিবহণ করা হচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেলার বুড়িমারী ও সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে পাথর ও কয়লা চিলমারীর রমনা ও ফকিরহাট হয়ে বাহাদুরাবাদ ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে পরিবাহিত হয়।

বিআইডব্লিউটিএ’র তথ্যানুযায়ী প্রায় ১১ একর জায়গায় জুড়ে নির্মিত হবে বন্দরের পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী পোর্ট। ইতোমধ্যে আড়াই একর জায়গার ওপর বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কাজ করছে। কাজ শুরুর খবরে স্থানীয়রা প্রকল্প এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখছেন। বন্দর এলাকার বাসিন্দারা বলছেন বন্দরের কাজ শেষ হলে এখানকার উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন ঘটবে। বিপুল মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
চিলমারী নদী বন্দরের উন্নয়নের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার লাভের মাধ্যমে এই অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। পাশাপাশি চিলমারী নৌ-বন্দরটি আগের অবস্থায় ফিরে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। চিলমারী নৌবন্দর এলাকার ব্যবসায়ীরা মনে করে বন্দরের কাজ সম্পন্ন হলে জেলার মানুষ বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসা করতে পারবে। এতে জেলার উন্নয়ন হবে। ভারত, ভুটান, নেপালসহ দেশের অভ্যন্তরীণ নৌরুটে কম খরচে পণ্য পরিবহণ সম্ভব হবে। কাজেই যথাসময়ে ও যথাযথভাবে চিলমারী নদী বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে-এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।

লেখক: মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান
উপপ্রধান তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদফতর
পিআইডি ফিচার