যশোরে এইডসের থাবা, নতুন শনাক্ত ৭, আক্রান্ত গর্ভবতীর সংখ্যাও বাড়ছে


editor প্রকাশের সময় : মে ৩১, ২০২৫, ৩:৫৭ অপরাহ্ণ /
যশোরে এইডসের থাবা, নতুন শনাক্ত ৭, আক্রান্ত গর্ভবতীর সংখ্যাও বাড়ছে

মনির হোসেন, বেনাপোল : যশোরে উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে ঘাতক ব্যাধি এইচআইভি/এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা, বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের মধ্যে। চলতি বছরে নতুন করে ৭ জনের দেহে এই মরণব্যাধির ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

এরই মধ্যে আগামীকাল (১ জুন) একজন এইচআইভি পজিটিভ গর্ভবতী নারীর সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশেষ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এছাড়া, এইডসে আক্রান্ত আরেক নারী দ্বিতীয়বারের মতো গর্ভবতী হয়েছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১ জুন এইচআইভি পজিটিভ ওই গর্ভবতী নারীর সিজার করার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার (ওটি) বিশেষভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. জিইয়াসমিনের তত্ত্বাবধানে এই সিজারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি হবে এই হাসপাতালে দ্বিতীয় কোনো এইডস আক্রান্ত গর্ভবতী রোগীর সিজার। প্রায় দু’বছর আগে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (আরএস) ডা. নিলুফার ইয়াসমিন প্রথম এ ধরনের একটি সফল সিজার করেছিলেন।

ডা. নিলুফার ইয়াসমিন জানান, পূর্বে সিজার হওয়া সেই রোগী বর্তমানে দ্বিতীয়বারের মতো গর্ভবতী এবং তিনিও পুনরায় সিজারের জন্য যোগাযোগ করেছেন। এ প্রসঙ্গে ডা. ইয়াসমিন আরও বলেন, ‘কোনো ভাইরাসই ২৪ ঘণ্টার বেশি সক্রিয় থাকে না। অপারেশন থিয়েটার সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করলে এবং প্রয়োজনীয় সকল নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এ ধরনের সিজারে ভয়ের কিছু নেই। চিকিৎসকদের পেশা হলো মানুষকে সেবা করা। আমরা আশা করি, মহান আল্লাহতালা সহায় থাকলে কোনো বিপদ হবে না এবং পহেলা জুনের সিজারটিও সঠিক সময়ে সফলভাবে সম্পন্ন হবে।’

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত রোগীদের সরকারিভাবে চিকিৎসা ও অন্যান্য সেবা প্রদানের জন্য একটি এআরটি (অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি) সেন্টার চালু রয়েছে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত জানান, ‘চলতি বছরের এ কয়মাসে ৭জনের শরীরে এইচআইভি/এইডস ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এইচআইভি/এইডস রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় যশোর একটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও গভীরভাবে চিন্তিত।’

এ বিষয়ে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। সাধারণত এ ধরনের বিশেষায়িত সিজার পরিচালনার জন্য পৃথক ও বিশেষায়িত হাসপাতাল বা ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। অপারেশনকালীন যেকোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত জটিলতা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।