মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মহানগর জামায়াতের আলোচনা সভা


editor প্রকাশের সময় : মার্চ ২৬, ২০২৫, ৩:৫৬ অপরাহ্ণ /
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মহানগর জামায়াতের আলোচনা সভা

স্টাফ রিপোর্টার : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর উদ্যোগে আজ বুধবার সকালে মহানগর কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর এ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে ও সহকারী সেক্রেটারী অধ্যক্ষ শাহাদৎ হোসাইনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাহবুবুল আহসান বুলবুল, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার, হাফেজ নুরুজ্জামান, ডা: হাসানুজ্জামান হাসু, বোয়ালিয়া থানা আমির আবুবকর সিদ্দিক মতি, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আদিলুর রহমান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে এ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ১৯৭১ সালে এদেশের মুক্তিকামী জনতা দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তদানীন্তন শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। ক্ষুধা-দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও দুঃশাসন মুক্ত একটি দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বস্তরের জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে আজও দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশের মানুষের প্রত্যাশা পুরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, গত জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মাধ্যমে দেশ আবার নতুন করে দ্বিতীয়বারের মত স্বাধীনতা অর্জন করেছে। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের জগদ্দল পাথরের ন্যায় চেপে বসা জালিমের হাত থেকে মুক্ত হয়ে দেশের মানুষ মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারছে। দেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেয়েছে এবং শান্তিতে-স্বস্তিতে চলাফেরা করতে পারছে। পতিত সরকারের দোসররা এবং দেশের কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল বিদেশি আধিপত্যবাদী শক্তির সহায়তায় ছাত্র-জনতার এই গণআন্দোলনকে ব্যর্থ করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা দেশকে আবার অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে এবং পতিত স্বৈরাচারকে ফিরে আনার অপতৎপরতা শুরু করেছে। এমতাবস্থায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। শান্তি-স্বস্তির নতুন বাংলাদেশ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।