অনলাইন ডেস্ক : জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের অন্ধকার অধ্যায়ে জ্বলজ্বলে তারা হয়ে ছিলেন তিনিই। এলটন চিগাম্বুরা, প্রসপার উৎসেয়াদের সঙ্গে ব্রেন্ডন টেইলরের অবদান জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটকে টিকিয়ে রেখেছিল বিশ্বমঞ্চে। কিন্তু ২০১৫ সালের পর থেকে বিশ্বকাপে নেই জিম্বাবুয়ে। ব্রেন্ডন টেইলর নিজেও হারিয়ে গেছেন মাঝের ওই সময়ে। ২০২১ সালে অবসর, আর অবসরের ৪ মাস পর আসে সাড়ে ৩ বছরের নিষেধাজ্ঞা।
সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে চলতি বছরের জুলাই মাসে। আর সেখান থেকেই ক্রিকেটের বিশ্বমঞ্চে ফিরে আসার প্রেরণা খুঁজছেন ব্রেন্ডন টেইলর। ২০১৯ আর ২০২৩ বিশ্বকাপে না থাকলেও আগামী বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ে থাকছে নিশ্চিত। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ২০২৭ বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক হচ্ছে রোডেশিয়ানরা। আর সেই মেগা ইভেন্টকে সামনে রেখেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে চাইছেন ব্রেন্ডন টেইলর।
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী বিধিমালার চারটি ধারা ভাঙার দায়ে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে নিষিদ্ধ করা হয় টেইলরকে। তার আগেই অবশ্য অবসরে গিয়েছিলেন। ভাবনা ছিল কোচিংয়ে আসার। কিন্তু নিজের দেশে বিশ্বকাপ বলেই হয়ত আরও একবার গায়ে চড়াতে চান জিম্বাবুয়ের লাল-হলুদ জার্সিটা। আর তাকে এজন্য রাজি করিয়েছেন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিভমোর মাকোনি।
টেইলর নিজের ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেন, ‘আমি এখনো খেলতে চাই আর বিশ্বাস করি এখনো খেলোয়াড় হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারব। আমি শারীরিক আর মানসিকভাবে কোথায় আছিম সেটা বিবেচনা করেছি। যদি অনুভব করতাম আমার দ্বারা হবে না তাহলে আমি ভাবতাম না। গিভমোর আমাকে এই ব্যাপারে খুবই সাহায্য করেছে। সে আমার কোচিং রোল একপ্রকার বন্ধ করে দিয়ে জানতে চেয়েছিল ‘তুমি কি খেলতে পারবে আর নিজেকে ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিতে পারবে?’
জিম্বাবুয়ে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে যখন ২০২৭ বিশ্বকাপ গড়াবে তখন ব্রেন্ডন টেইলরের বয়স হবে ৪১। বর্তমান জিম্বাবুয়ে দলে চল্লিশের দোরগোড়ায় থাকা চতুর্থ ক্রিকেটার হবেন তিনি। ওয়ানডে এবং টেস্ট ফরম্যাটের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের বয়স ৩৯। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সিকান্দার রাজা এবং অলরাউন্ডার শন উইলিয়ামসনের বয়স ৩৮। ব্রেন্ডন টেইলরও তাদের দেখেই অনুপ্রেরণা খুঁজছেন ফিরে আসার।
‘এটা আমার জন্য অনুপ্রেরণার। আপনি যদি পরিসংখ্যানের দিকে তাকান, তারা এই খেলার ওপরের দিকে থাকবেন। জাতীয় দলে তারা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা খেলোয়াড়। আর সেটাই সত্যিকার অর্থে আমাকে এই আশা আর বিশ্বাস দিয়েছে যে আমি ক্রিকেটে ফিরতে পারি।’
তবে নিজের এখন পর্যন্ত নিজের খেলার ধরণে ওয়ানডে এবং টেস্ট ক্রিকেটের জন্যই নিজেকে ফিট ভাবছেন ব্রেন্ডন টেইলর। তবে কিছুটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে হলেও নিজেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দেখতে চান জিম্বাবুয়ের সাবেক এই ক্রিকেটার।
আপনার মতামত লিখুন :