ধর্ষণ ও হত্যার হুমকির সুবিচার চেয়ে রাস্তায় মা-মেয়ে


editor প্রকাশের সময় : মার্চ ১৮, ২০২৫, ৭:৩৬ অপরাহ্ণ /
ধর্ষণ ও হত্যার হুমকির সুবিচার চেয়ে রাস্তায় মা-মেয়ে

স্টাফ রিপোর্টার : ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সুবিচার চেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন রাজশাহীর এক নারী ও তাঁর মেয়ে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নগরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিলেন জেলার তানোর উপজেলার নবনবী গ্রামের বাসিন্দা রোজিফা খাতুন ও তাঁর মেয়ে বকুল খাতুন। সঙ্গে ছিলেন বকুলের ফুপাতো বোন।

রোজিফা ও তাঁর মেয়ে বকুল মঙ্গলবার একটি ব্যানার নিয়ে সাহেব বাজারে দাঁড়ান। ব্যানারে লেখা ছিল, ‘বাঁচতে চাই, নিরাপত্তা চাই, অন্যায়ের বিচার চাই, ধর্ষণের হুমকির বিচার চাই।’

তাঁদের অভিযোগ, আগের দিন সোমবার রাজশাহীর আদালত চত্বর থেকে বকুল খাতুনকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা হয়। একই এলাকার ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম জহিরের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ। জহিরের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে তাঁদের। এর জের ধরে সম্প্রতি তানোরে রোজিফার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।

বকুল জানান, দেবোত্তর সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ফেব্রুয়ারিতে তাদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের করা হয়। বিষয়টি নিয়ে মামলা করা হলে পরের দিন জামিন পেয়ে যান জহিরুল ইসলাম জহির। জামিনের পর তিনি প্রতিনিয়ত হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন জহিরের স্ত্রী তারিনা সুলতানা। এই মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বকুলের অভিযোগ, এই মামলায় গতকাল আদালতে হাজির হলে আদালত চত্বর থেকে তাঁকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন জহির। এ সময় লোকজন এগিয়ে এলে কোনো রকমে রক্ষা পান তিনি। এই ঘটনার পর থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা মা ও মেয়ে। তাঁরা নিরাপত্তা চান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম জহির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তাদের নামে কে মামলা করেছে আমি জানি না। আমি কোনো মামলা করিনি। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টাও করিনি। এগুলো সব মিথ্যা অভিযোগ। তারা আমাদের জমি দখল করছে।’

মা-মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, ‘এ রকম কোনো ঘটনা তো আমার জানা নেই। এমন ঘটনা ঘটলে আমাকে জানাতে পারে। আমি থানায় অভিযোগ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’