সাইদ সাজু, তানোর : বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় এক চেটিয়া রাজত্ব করেছেন কাকনহাট ক্যাবল নেটওয়ার্ক বা ডিস ব্যবসায়ী শ্রমিক লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার বাড়ি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাট পৌর এলাকার সুন্দর পুর গ্রামে। আনোয়ার গোদাগাড়ী উপজেলা আ”লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদের ডাইভার ও অর্থ যোগানদাতা বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। সে স্বৈরাচার সরকারের সময় ওই এলাকায় একচেটিয়া রাজত্ব করতেন। তার ভয়ে অন্য ডিস ব্যবসায়ীরা কোন কথা বলতে পারত না। তার কথা ছিল এলাকায় শেষ কথা। স্বৈরাচার সরকারের পতনের সাথে সাথে খোলস পাল্টিয়ে কাঁকনহাট পৌর যুবদলের নেতা মশিউর রহমান মশির ছত্রছায়ায় তার রাজত্ব ধরে রেখেছেন। মশিউর মেজর জেনারেল (অব) শরীফ উদ্দিনের অনুসারী বলেও সুত্র নিশ্চিত করেন। ফলে শ্রমিক লীগ নেতাকে দ্রুত আটকের দাবি তুলেছেন জনসাধারণ।
স্থানীয়রা জানান, আনোয়ার হোসেন বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় কাঁকন হাট পৌর এলাকা থেকে শুরু করে পুরো উপজেলায় রাজত্ব করতেন। এমনকি সে উপজেলা আ”লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদের ডাইভার ছিলেন এবং অর্থ যোগানদাতা হিসেবেও ব্যাপক পরিচিত। আ”লীগ সরকার পতনের পর বেশকিছু দিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। আস্তে আস্তে যুবদলের নেতা মশিউর রহমান মশির ছত্রছায়ায় চলে আসেন আনোয়ার। এসেই আগের মত রাম রাজত্ব শুরু করেছেন। অন্য ডিস বা নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ীদের আগের মতই হুমকি ধামকি দেয়া শুরু করেছে। এমনকি সাবেক এমপি ফারুক চৌধুরীর অন্যতম অর্থ যোগানদাতা ও ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন আনোয়ার। গত বছরের ৫ আগষ্টের পর দীর্ঘদিন এলাকায় ছিলেননা। সবাই নিজনিজ ব্যবসা করে আসছিল। কিন্তু যুবদল নেতার আশীর্বাদে আগের রুপ ধারন করেছে আনোয়ার।
বেশকিছু সিনিয়র নেতারা জানান, কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ কোন ভাবেই ফ্যাসিস্ট দোসরদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়া যাবেনা। কিন্তু আনোয়ারকে টাকার বিনিময়ে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন যুবদলের নেতা মশিউর। এটা দলের আদর্শের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া কিছুই না। কারন ওই সময় আনোয়ারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারেনি। অথচ তাকে নিয়ে যাবতীয় সবকিছু করা হচ্ছে। যা আগামী জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে ধানের শীষের প্রার্থী। তার দাপটের কারনে অনেক ত্যাগী নেতারা ঘরে বসে আছেন। আনোয়ার হোসেনের মোবাইল নম্বরে ফোন দেয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে যুবদল নেতা মশিউর রহমান মশি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়ার প্রশ্নই উঠেনা। আমার নিজের ডিসের ব্যবসা আছে। আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে।
নাম প্রকাশ না করে এক ব্যক্তি জানায়, মশিউর দীর্ঘ প্রায় চার পাঁচ বছর আগে একজনের কাছ থেকে ডিসের লাইন কিনেছিল। তার সেই লাইন দেখভাল করত শ্রমিক লীগ নেতা আনোয়ার । ওই সময় মশিউরের লাইন সচল রেখেছিল আনোয়ার। আর এখন আনোয়ারের যাবতীয় সবকিছু করছেন মশিউর। কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়ায় গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিনের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, যাদের হুকমি ধামকি দিচ্ছে তারা লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :