বেনাপোলে মধুমাস জ্যৈষ্ঠের শুরু


editor প্রকাশের সময় : মে ১৫, ২০২৫, ৭:১১ অপরাহ্ণ /
বেনাপোলে মধুমাস জ্যৈষ্ঠের শুরু

মনির হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি: জ্যৈষ্ঠ মাসের আজ পহেলা। বাংলা বর্ষের দ্বিতীয় মাসের প্রথম দিন আজ। যেভাবেই বলি না কেন গ্রীষ্মের  মাঝে   এই জৈষ্ঠই এখন মধুমাস। তীব্র তাপদহে প্রাণটা ওষ্ঠাগত হলেও প্রকৃতিতে এখন অন্য রূপ। নানা স্বাদের বাহারি সব ফলের ম ম গন্ধে মাতোয়ারা বাংলার প্রান্তর।

বাংলা অভিধানে  চৈত্রকে মধুমাস বলা হলেও  রসালো আর মিষ্টি ফলের প্রাচুর্যে কালের পরিক্রমায় জৈষ্ঠ মাস  এখন মধুমাস হিসেবেই সমাদৃত।

বেনাপোল বাজার জুড়ে ফলের বাহার রসেতে টলমল, আম, কাঁঠাল আর জাম জামরুল নানা রকম ফল।

মেঘের গর্জন তর্জন যায় হোক না কেন, বলা যায় আজ থেকেই অনানুষ্ঠানিকভাবেই বাজারে আসতে শুরু করছে  গ্রীষ্মকালীন ফলের সম্ভার। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, তরমুজসহ নানা জাতের পাকা ফলের ঘ্রাণে ভরে ওঠছে হাটবাজার। রসালো ফলের এই সমাহার বাঙালির রসনা তৃপ্তির পাশাপাশি অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উৎপাদিত ফল এই সময়েই পুরোদমে বাজারে আসে, যা কৃষকদের জন্য নতুন ঋতুর আশীর্বাদ।

জৈষ্ঠ্য আসার সাথে সাথেই  শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সর্বত্রই যেন আনন্দের ঢেউ লাগে।

শুধু বাসা বাড়িতে নয়  অফিসে আদালতে ও  ফলই হয়ে ওঠে আপ্যায়নের প্রধান উপকরণ। তাপের তীব্রতা মাঝে  প্রকৃতির পক্ষ থেকে  ফল হচ্ছে মধুর উপহার।

শার্শা  উপজেলা  প্রাণকেন্দ্র বেনাপোল বাজার, শার্শা বাজার, নাভারন বাজার, বাগআচড়া, সব খানেই ফলের পসরা  নিয়েই বসে আছে দোকানী।

অফিস শেষে কর্তা বাসায় ফিরছে  ফলের ব্যাগ হাতে, দিনমজুর কিংবা ইজিবাইক চালকের  রি হাতেও থাকে  ফল।