মনির হোসেন বেনাপোল: যশোরের শার্শা উপজেলায় পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফের মা কোহিনুর বেগমকে পিটিয়ে জখম করাসহ স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেওয়া অভিযোগ উঠেছে।
গত ২২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জ্বেরে প্রতিপক্ষ নাজিম উদ্দিন তার দুই ছেলেসহ পুত্র বধূদের সাথে নিয়ে তাকে পিটিয়ে জখম করাসহ দেড় লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেন। আহত কোহিনুর বেগম শার্শা উপজেলার বাইকোলা গ্রামের জামাল উদ্দিনের স্ত্রী। অভিযুক্তরাও একই গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে শার্শা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ বর্তমানে ঢাকা মেট্রোপলিটনে কর্মরত আছেন।
এজাহারে তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেশী নাজিম উদ্দিনের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ আছে।
গত১৮ এপ্রিল (শুক্রবার ) স্থানীয় গণমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ার দ্বারা জমির সীমানা নির্ধারণ করে সীমনা পিলার পুতে রাখা হয়। এ ঘটনার চার দিন পর আসামিরা জোর পূর্বক সীমানা পিলার উঠিয়ে আমাদের সীমার ভিতর প্রবেশ করে। এ সময় আমার মা কোহিনুর বেগম (৬৫) বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাদের নিষেধ করা মাত্রই তারা আমার মায়ের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। প্রথমে নাজিম উদ্দিনের পুত্র মনিরুজ্জামান লাঠি দিয়ে আমার মায়ের মাথায় আঘাত করতে গেলে ডান হাত দিয়ে ঠেকাতে গিয়ে হাতের আঙ্গুল ভেঙে যায়। এ সময় নাজিম উদ্দীন তার আরেক পুত্র কামরুজ্জামান, পুত্রবধু ডালিয়া খাতুন ও নাতি মিলি খাতুনকে নিয়ে আমার মাকে এলোপাতাড়ি চড়, কিল, ঘুষি মেরে গুরুতর জখম ও শীলতাহানি করে। অভিযুক্তরা আমার মায়ের গলায় থাকা দেড় লাখ টাকা মূল্যোর স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। আমার মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশী ইসরাফিল হোসেন, আব্দুর রশিদ, রবিউল, হৃদয়, ফারুক হোসেন, ডলি খাতুনসহ অন্যরা এগিয়ে এলে তারা বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে ঘটনাস্থল হতে চলে যায়। পরে তাদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে বাড়িতে এসে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় আমার মা কোহিনুর বেগমকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করি।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি) রবিউল ইসলাম এজাহার দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :