অনলাইন ডেস্ক : ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে শুরু করে মেরিন ড্রাইভের ইনানী পাটুয়ারটেক পাথুরে সৈকত পর্যন্ত পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে। কক্সবাজার সাগর পাড়ের হোটেল, গেস্ট হাউসও এখন ভরে গেছে পর্যটকে।
প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করেই আজ ঈদের পরের দিন সকাল থেকে দীর্ঘ সৈকত মেতে উঠেছে লাখো পর্যটকের উল্লাসে। সাগরের নীল জলরাশিতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন আগত পর্যটকরা। পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের ছুটি কাটাতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ভিড় করছেন লাখো পর্যটক। গরম উপেক্ষা করে সৈকতের সব পয়েন্টে যেন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও ইনানীর পাথুরে সৈকত, পর্যটন স্পট দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরও পর্যটকে মুখরিত।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক তাসনিম বলেন, ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে। তবে প্রচণ্ড গরম। তারপরও সৈকতের নোনাজলে পা ভেজাতে পেরে আমরা অনেক খুশি।
কুমিল্লা থেকে আগত পর্যটক উর্মি বলেন, প্রথমবার কক্সবাজারে আসছি। তবে হোটেল বুকিং দিয়ে আসিনি। সকাল থেকে রুম খুঁজছি। ভালো মানের হোটেল ৪-৫ হাজারের নিচে পাচ্ছি না। এত বাজেট নেই। আমাদের বাজেট ২ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।
ঢাকা মিরপুর থেকে আগত পর্যটক রাজ্জাক বলেন, ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে আসছি। সাগরের গর্জন শুনে ভনটা ভরে গেলেও হোটেল ভাড়াটা একটু বেশি বলে অভিযোগ করেন এই পর্যটক।
কক্সবাজার আবাসিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, আজ ঈদের পরের দিন সকাল থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে তারকা মানের হোটেলগুলো প্রায় বুকিং রয়েছে। তবে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে হোটেল ভাড়া বেশি নিচ্ছে।
তারকা মানের হোটেল সি-গালের ম্যানেজার এনায়েত উল্লাহ বলেন, পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। আমরা পর্যটকদের বরণ করে নিচ্ছি। আমরা পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, আজ থেকে পর্যটকের ভিড় বাড়ছে। আগামীকাল থেকে আরও বাড়বে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পর্যটকদের সুবিধার জন্য হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।-ঢাকা পোস্ট
আপনার মতামত লিখুন :