মনির হোসেন, বেনাপোল: বড় উৎসবের কেনাকাটার তালিকাটা হয় দীর্ঘ। সে তালিকায় নতুন নতুনভাবেও সংযোজন হয় নতুন করে কিছু। কেনাকাটার যেন শেষ নেই। তালিকায় জামা, জুতা, কসমেটিকস্, গৃহসজ্জা সামগ্রী কেনার পরেও আসতে থাকে একের পর জরুরী পণ্য। শেষ মুহুর্তেও চলে নানান ধরনের কেনাকাটা। সে তালিকায় যুক্ত হয়েছে আতর, টুপি, জায়নামাজের মতো জরুরি জিনিস। যশোরের বেনাপোল প্রাণকেন্দ্র বাজারে এসকল পণ্যর বিক্রি শুরু হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যা কিনতে ভীড় করছেন ক্রেতারা। এ বাজারে পাশাপাশি আছেন বাইরের গ্রামের ক্রেতারাও।
আর কয়েকটি দিন পরেই অপেক্ষার পালা শেষ। দোর গোড়ায় ঈদ আনন্দ। এক মাস সিয়াম সাধনার পরে ঈদ আনন্দে মেতে ওঠার পালা। শেষ মুহুর্তের কেনাকাটায় অনেকেই ব্যস্ত সময় পার করছেন। নিজের, পরিবারের প্রতিটি সদস্যদের কেনাকাটার পরেও জরুরি কেনাকাটার তালিকায় রয়ে গেছে আতর, টুপি, জায়নামাজ, তসবি, রুমাল এমনি নানান পণ্য। সকাল ৮ টার পরেই খুলছে বাজারের বেশিরভাগ দোকান। বেচাকেনা চলছে মাঝ রাত অবধি।
মেন বাজারের ঢুকার মুখে এবং আশেপাশের দোকান বিভিন্ন দামে আতর, টুপি, জায়নামাজ, তসবি পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী দামে কিনপণন এসকল জরুরী পণ্য।
টুপি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা থেকে ৫০০টাকায়। আতর বিক্রি হচ্ছে ২০টাকা থেকে৪০০টাকায়। জায়নামাজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে দুই হাজার ৫০টাকার মধ্য। তসবি ১০টাকা থেকে ৫০০টাকা। রুমাল ২০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেনাপোল পোর্ট থানা বাহাদুরপুর ইউনিয়ন থেকে থেকে আসা চাকরিজীবী মো,শামীম আহম্মেদ বলেন, বেনাপোল বাজারে অসাধারণ সব টুপি পাওয়া যায়। এসব টুপি কেনার জন্য প্রতি বছরই আসি। আতরও কেনার ইচ্ছা আছে।
বেনাপোল পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ড ভবের বেড় পাড়ার রেজাউল ইসলাম বলেন, টুপি প্রতি ঈদে না কিনলেও, আতর প্রতি ঈদেই কিনি। নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের সময় আতরটাই বেশি কেনা হয়।
পুটখালী ৫ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের বারোপোতা গ্রাম থেকে থেকে আসা শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, টুপি আর জায়নামাজ কেনার ইচ্ছা আছে। আরামদায়ক মখমলের জায়নামাজ পছন্দ।
স্কুল মার্কেটের মিনা বুক হাউস সত্ত্বাধিকারী আব্দুল হামিদ বলেন, আমাদের মূল বেচাকেনা হয় ২৮ ও ২৯ রোজায়। তবে এখন যা হচ্ছে তা মোটামুটি ভালো।
মিতালী লাইব্রেরী বিক্রেতা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ২৫ রোজার পর থেকে বেচাকেনা শুরু হয়েছে, বিক্রি ভালো হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :