তানোরে বিএনপির ইফতারে ফের সংঘর্ষে আহত ১৫


editor প্রকাশের সময় : মার্চ ২৮, ২০২৫, ৮:০২ অপরাহ্ণ /
তানোরে বিএনপির ইফতারে ফের সংঘর্ষে আহত ১৫

স্টাফ রিপোর্টার, তানোর : রাজশাহীর তানোরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তানোরের রাতৈল বাজারে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় বাজারের একটি মুদিদোকানে ব্যাপক লুটপাটের পর ভাঙচুর করা হয়েছে। দোকানের মালিক বলছেন, ইফতার মাহফিলে চাঁদা না দেওয়ায় তাঁর দোকানে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, গতকাল চান্দুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিনের বাড়িতে এই ইফতারের আয়োজন করা হয়। এতে অংশনেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন। ইফতারে অংশ নিয়েছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও ঠিকাদার মো. রনিও। তবে ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান সভাপতি আজাদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলী এই ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।

সন্ধ্যার পর মফিজ উদ্দিনের সমর্থক ও আজাদ আলীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আজাদ আলীর পক্ষের মো. রনি, তাঁর ভাই মো. সজীব, গোলাম রাব্বানী, মো. শামীম, মো. জনি, রুহুল আমিন, নুরুল ইসলাম, মুদিদোকানি দুরুল হুদা ও তাঁর ছেলে মো. মিনু আহত হন। এ ছাড়া মফিজ উদ্দিনের পক্ষের জিয়াবুর রহমান, আজিজুল ইসলাম, তোফাজ্জল হোসেন, সাহাবুর ইসলাম, মো. সুমন ও নেকশাদ আলী আহত হন। আহতদের সবাইকেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. রনি বলেন, ‘এ বছরই ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানে একজন নিহত হন। তাই আমরা ইফতার আয়োজনের পক্ষে না। ইউনিয়ন বিএনপি এটা বয়কট করেছে। কিন্তু ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মফিজ উদ্দিন ইফতার করবেনই। তিনি বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা তুলেছেন। এসবের আমরা অডিও রেকর্ডও পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘ইফতারের জন্য মুদিদোকানি দুরুলের কাছে চাঁদা চাওয়া হয়েছিল। চাঁদা না দেওয়ায় ইফতারের পর মফিজের লোকজন দুরুলের দোকানে হামলা করে। লুটপাট শুরু করলে আমরা গিয়ে বাধা দিই। তখন আমাদেরও মারে। এতে আমরা ৯ জন আহত হই। আমাদের মেরে দোকান থেকে প্রায় ১৪ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

জানতে চাইলে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘এসব গল্প কারা বানিয়ে বলে? এ রকম কোনো ঘটনা না। বিএমডিএর ডিপ নিয়ে গন্ডগোল হয়েছে। আমার বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরের ঘটনা। আমি ওই এলাকায় দুই বছর ধরে যাইনি। আমার কোনো লোকও মারামারিতে যায়নি।’ তবে আজাদ আলীর পক্ষের লোকজনের হামলায় ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানান মফিজ উদ্দিন। তিনি তাঁদের নামও জানান।

এ বিষয়ে তানোর থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, ‘মারামারিতে দুই পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। তবে কী নিয়ে ঘটনা, তা জানি না। কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ এলে ঘটনা সম্পর্কে বলা যাবে। অভিযোগ হলে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’