পৃথিবীতে ফিরে এসে যেসব সমস্যায় পড়বেন আটকে পড়া দুই নভোচারী


editor প্রকাশের সময় : মার্চ ১৬, ২০২৫, ৭:৫৯ অপরাহ্ণ /
পৃথিবীতে ফিরে এসে যেসব সমস্যায় পড়বেন আটকে পড়া দুই নভোচারী

অনলাইন ডেস্ক : সুনিতা উইলিয়ামস ও বাচ মোর গত বছর গিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। সেখানে তাদের মাত্র ৮দিন অবস্থান করার কথা ছিল। তবে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে মহাকাশে আটকে আছেন তারা।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ক্রু-১০ গত শুক্রবার ফ্লোরিডার কেনেডি মহাকাশ কেন্দ্র থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের দিকে রওনা দেয়। এটি সেখানে নতুন মহাকাশচারীদের নেওয়ার পাশাপাশি সুনিতা ও বাচ মোর-কে ফিরিয়ে আনবে।

তবে এ দুজন পৃথিবীতে ফিরে আসার পর বেশ কিছু ঝামেলায় পড়তে পারেন। তারা বেশ লম্বা সময় ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারবেন না হয়ত।

জানা গেছে, তাদের পায়ের পাতা অনেক নরম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেটি ‘বেবি ফিট’ বা শিশুর পা নামে পরিচিত। শিশুদের মতো পা নরম হয়ে যায় বলে এই বিষয়টিকে বেবি ফিট বলা হয়। যখন নভোচারীরা দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকেন তখন তাদের পা হাঁটার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

আমরা যখন পৃথিবীতে হাঁটি তখন আমাদের পা মাধ্যাকর্ষণ ও ঘর্ষণের অনেক বাধার সম্মুখীন হয়। এতে করে পায়ের তলার অংশটি অনেক শক্ত হয়ে যায়। পায়ের পাতা শক্ত হওয়ার ফলে আমরা হাঁটার সময় ব্যথা ও অস্বস্তি থেকে রক্ষা পাই।

কিন্তু নভোচারীরা যখন দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকেন তখন পায়ের পাতার মোটা অংশটি পড়ে যায়। এতে পা অনেক নরম হয়ে যায়। পৃথিবীতে ফিরে আসলে আবারও তলার অংশ মোটা হতে থাকে। তবে এটি মোটা হতে কয়েক সপ্তাহ এমনকি কয়েক মাসও লাগতে পারে। যার কারণে হাঁটা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।

এছাড়া মহাকাশে থাকলে হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। নাসার তথ্য অনুযায়ী, নভোচারীরা যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেন তাহলে তাদের হাড়ের ঘনত্ব প্রতি এক মাসে এক শতাংশ করে কমে। এছাড়া মহাকাশে থাকলে শরীরের পেশীর শক্তিও কমে। কারণ সেখানে কোনো ভারী কাজ করা লাগে না।

মহাকাশে থাকলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনের পরিমাণও কমে যায়। কারণ মাধ্যাকর্ষণের বিরুদ্ধে হৃদপিণ্ডকে রক্ত পাম্প করতে হয় না। এছাড়া ভারী কাজও করতে হয় না। এর প্রভাবে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া ও ঠিকমতো তরল সঞ্চালন না হওয়ার ঝুঁকি থাকে।