৪ ঘণ্টা পর সারা দেশের সঙ্গে রাজশাহীর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক


editor প্রকাশের সময় : জুলাই ৯, ২০২৪, ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ /
৪ ঘণ্টা পর সারা দেশের সঙ্গে রাজশাহীর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

রাবি প্রতিনিধি : ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ চার দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। চার ঘণ্টা রেলপথ অবস্থান নেওয়ার পর অবরোধ তুলে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে সচল হয়েছে সারা দেশের সঙ্গে রাজশাহীর ট্রেন চলাচল।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। চার ঘণ্টা পর বিকেল ৪টায় অবরোধ তুলে নেন তারা। এর মধ্যে রাজশাহী থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি এবং কোনো ট্রেন রাজশাহীতে আসতে পারেনি। তবে অবরোধ তুলে নেওয়ায় বিকেল পোনে ৫টায় ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহীতে পৌঁছায়।

এ সময় বিভিন্ন স্টেশনে অবস্থান নিয়ে থাকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ট্রেনগুলো। খুলনা থেকে ছেড়ে আসা কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী আসার কথা ছিল দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে এবং ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি পৌঁছানোর কথা ছিল ১১টা ৪০ মিনিটে। পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল ৪টায় এছাড়াও বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। সব মিলিয়ে চারটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে।

অবরোধ শেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক আমান উল্লাহ খান বলেন, আমরা আজ এক দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছি। আমাদের একটাই দাবি কোটা পদ্ধতি সংস্কার করতেই হবে। কোটা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত সারাদেশের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আমাদের আন্দোলনও চলমান থাকবে। আমরা আগামীকাল সারাদেশের শিক্ষার্থীদের সমন্বয় করে আজ রাতে কালকের কর্মসূচি ঘোষণা করব।

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার আবদুল করিম বলেন, শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়েছে। আমরা দ্রুত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। এর আগে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আমরা হরিয়ান স্টেশন থেকে বিকেল সাড়ে ৩টায় আবার খুলনার দিকে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন ধুমকেতু রাজশাহীতে এসেছে। এরপর বিকেল ৫টায় পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে ঢাকা-রাজশাহী রেলপথ অবরোধ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড থেকে মিছিল বের হয়। পরবর্তীতে মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ভবন ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রেললাইন অবরোধ করে।