চাকরি ও টাকা ফেরৎ না দেওয়ার অভিযোগে বাঘায় অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন


editor প্রকাশের সময় : মে ৩১, ২০২৫, ৭:৫১ অপরাহ্ণ /
চাকরি ও টাকা ফেরৎ না দেওয়ার অভিযোগে বাঘায় অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা : চাকরিও দেননি টাকাও ফেরৎ দেননি অধ্যক্ষ। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার তেঁথুলিয়া-পীরগাছা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট কলেজ ও ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হককে দূর্নীতিবাজ ,টাকা আত্নসাৎকারী আখ্যায়িত করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ভূক্তভুগিরা।

শনিবার (৩১ মে) বাঘা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে আড়পাড়া গ্রামের মৃত রহমান মন্ডলের ছেলে একলাসুর রহমান বলেন, অফিস সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার জন্য তার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চান অধ্যক্ষ। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ২ লক্ষ টাকা দেন। একই গ্রামের মৃত চহরম প্রামানিকের ছেলে আবুল বাছেদ বাচ্চুর নৈশ প্রহরী পদে চাকরির জন্য ৫ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়। ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর ৩ লক্ষ টাকা দেন। ওই গ্রামের মৃত মহরম প্রামানিকের ছেলে নাইম উদ্দীনকে ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট পদে চাকরির জন্য ৮ লক্ষ টাকা চুক্তি হয়। ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানান,তারা যে টাকা দিয়েছেন তার অনুকুলে অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত আলাদা আলাদা চেক দিয়েছিলেন। পরে টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা বলে সুকৌশলে অধ্যক্ষ’র তেথুলিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে ডেকে নেন। অভিযোগ করা হয়,ওই সময় তার ভাতিজা, ছাত্রলীগ নেতা নাজমূল হক অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ব্যাংকের সেই চেকের পাতা ছিনিয়ে নেন। এমনকি মামলাসহ প্রাণনাশের হুমকিও দেন বলে অভিযোগ করা হয়।

এনিয়ে মামলা করতে গিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা পাননি। পরে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর একলাসুর রহমান বাদি হয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে রাজশাহী কোর্টে মামলা দায়ের করেন। ওই সময় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মামলাটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপর তদন্তের দায়িত্ব করিয়ে নেন অধ্যক্ষ। চেয়ারম্যানের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।

পরবর্তীতে নিজেকে রক্ষার জন্য চার জনের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ নিজে বাদি হয়ে ১০৭ ধারায় আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাতে ভূক্তভোগীরা নির্দোষ প্রমানিত হয়।

পরে ২০২৪ সালের ২১ আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ভূক্তভোগীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। ২ সেপ্টম্বর’২৪ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক শুনানির ধার্য দিনে অসুুস্থতার কথা বলে উপস্থিত না হয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠান। তাতে তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে ওই সময়ে দায়িত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে ভূক্তভোগীদের যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দায়ের অনুরোধ করেন। ভ’ক্তভ’গিরা স্থানীয়দের কাছে দেন দরবার করলে চাকরি না দিয়ে টাকা ফেরত দিচ্ছি দিব বলে, কালক্ষেপণ করেন। চাকরি প্রত্যাশিরা প্রতারিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক এর বিচার দাবি করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভূক্তভোগী একলাসুর রহমান, নাইম উদ্দীন, ভূক্ত ভোগী আবুল বাছেদের ভাই নিজাম উদ্দিন।

এরপর ২৭ মে রাজশাহীর আদালতে ৬ জনকে অভিভুক্ত করে অধ্যক্ষ বাদি হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় চাকরি নেওয়ার টাকা পেরত না পেয়ে ভ’ক্তভোগীরা দিশেহারা হয়ে দূর্নীতিবাজ ,টাকা আত্নসাৎকারী।

অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক বলেন, আমার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বাংকের চেক দিয়ে তাদের কাছে টাকা নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে তাদের টাকা দিয়ে চেক ফেরত নিয়েছি। জোরপূর্বক চেক নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন। তবে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।