স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা: রাজশাহীর বাঘায় মসজিদে আযান দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধে হামলার ঘটনায় ফজল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ জুলাই) রাতে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফজল হোসেন উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের উত্তর সোনাদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে,আড়ানী ইউনিয়নের উত্তর সোনাদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিঠু মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের সামাজিক নের্তৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। মিঠুর পক্ষের তার ভাতিজা জিনারুল ইসলাম রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে যোহরের নামাজের আযানের কিছু সময় আগে মসজিদে এসে আযান দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তুু মসজিদের মাইকের মাউথ পিচের সমস্য থাকায় জিনারুল কোনভাবেই আযান দিতে পারেনি। আযানের সময় পার হয়ে গেলেও আযান দিতে না পেরে ইমামের সাথে তর্কবিতর্ক করে গালিগালাজ শুরু করে ইমাম সামসুল ইসলামকে। সামসুল বিষয়টি মসজিদ কমিটিকে জানালে। পরে মসজিদ কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলাম সেন্টু ও মানিক হোসেন মসজিদ এলাকায় এসে ইমাম শামসুল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানতে চান। এ সময় পরিকল্পিতভাবে মিজানুর রহমান মিঠুর পক্ষের লোকজন লোহার রড়,বাঁশের লাঠি,সাবল,হাসুয়া নিয়ে শহিদুল ইসলাম সেন্টু ও মানিকের উপর হামলা করে। এ হামলায় তারা গুরুতর আহত হয়। হামলার পরে মসজিদে ইমাম মাইকে প্রচার করে মিজানুর রহমান মিঠুর লোকজন হামলা করেছে। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চারঘাট মেডিকেলে নিয়ে গেলে সেখানে তার অবস্থা আশংকা জনক দেখা দিলে পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ফজল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ।
স্থানীয় সেলিম উদ্দিন বলেন, যেদিন থেকে আবদুর রশিদ, ফজল হোসেন, মসলেম উদ্দিন, মিঠু দীর্ঘদিন থেকে সমাজের নেতৃত্ব দেয়া শুরু করে। সেদিন থেকে মসজিদকে কেন্দ্র করে কমিটির সাথে বাড়তে থাকে তাদের দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্বে উত্তর সোনাদহ গ্রামে সমাজের ১১০ পরিবার একত্রিত হয়ে তাদের সমাজ থেকে আলাদা করে দেয়। এরপর থেকে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং মসজিদে গিয়ে সময়ে অসময়ে দ্বন্দ্বে সৃষ্টি করতে থাকে।
মসজিদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিঠু বলেন,তারা এককভাবে সমাজকে নেতৃত্ব দিতে চাই। প্রতিবাদ করায় তারা একত্রি হয়ে আমাদের কয়েক ঘরকে সমাজ থেকে আলাদা করে রেখেছে। আমার ভাতিজা আযান দিতে গেলে তারা আযান দিতে নিষেধ করে ও বাধা দেন। এ দিয়ে ইমামের সাথে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।
মসজিদের ইমাম শামসুল ইসলাম বলেন, আমি বাইরে থেকে এসে ইমামতি করি। যখন তখন এসে সময় হওয়ার আগে জিনারুল মসজিদে এসে আযান দেন। এ নিয়ে তাকে নিষেধ করায় আমাকে গালিগালাজ করে জিনারুল। আমি বাধ্য হয়ে মসজিদ কমিটিকে জানালে কমিটির দুই সদস্য তাদের নিকট বিষয়টি জানতে গেলে তাদের উপর চওড়া হয় ও তাদের উপর হামলা করে। এ ঘটনা তারা গুরুতর আহত হয়। সে এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত আছে।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করে সোমবার তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :