নাটোর জেলা বাস মালিক সমিতির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১, আহত ৬


editor প্রকাশের সময় : জুন ২২, ২০২৪, ৫:০২ অপরাহ্ণ /
নাটোর জেলা বাস মালিক সমিতির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১, আহত ৬

স্টাফ রিপোর্টার : নাটোর জেলা বাস মালিক সমিতির আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হয়েছেন আর পি রোকেয়া পরিবহনের মালিকের ভাতিজা সুবেল (২৭)।

শুক্রবার (২১ জুন) রাত ১টায় নাটোর শহরের বড়হরিশপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সমিতির মাস্টার মো. কিরণকে (৪৫) কুপিয়ে আহত করেছে হামলাকারীরা। তাদের দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনার জন্য বাস মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ বাবুল আখতারকে দায়ী করেছে অপর পক্ষ। ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই কাউন্টারে তালা লাগিয়ে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাস মালিক সমিতি। এতে প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ থাকে ঢাকাগামী সব ধরনের বাস চলাচল। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।

জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া অভিযোগ করে জানান, জেলা বাস মালিক সমিতির সদস্য ৩৫০ জন। প্রতি সদস্যের সর্বোচ্চ ১৫টি করে বাস নামানোর অনুমতি রয়েছে। তবে সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাজকীয় পরিবহনের মালিক মজিবর রহমান এ নিয়ম অমান্য করে ২০টি করে বাস নামান। এ নিয়ে সমিতির সাধারণ সদস্যদের অভিযোগ ছিল। সম্প্রতি বিষয়টি তাকে জানানো হয়। এরই জেরে মজিবর, নাবিলা পরিবহনের মালিক বাবুল আখতার, খোকা নামের এক যুবকসহ ১০/১২ জন বাস টার্মিনাল এলাকায় সমিতির মাস্টার মো. কিরণকে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে আর পি রোকেয়া পরিবহনের মালিকের ভাতিজা সুবেলের পায়ে গুলি করে চলে যায়। এ সময় তাদের কাজে বাধাদানকারীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি।

বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সম্পাদক মজিবর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মারামারির বিষয়ে আমি সঠিক জানি না। তবে বিকেলে আমার গাড়ি কাউন্টারে আটকে দিলে, আমি প্রশাসনকে জানাই। এ ঘটনায় আমার কোনো লোক জড়িত নয়।

নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুব্রত ঘোষ বলেন, গুলিবিদ্ধ ও কুপিয়ে আহত একজনকে পরিস্থিতি বিবেচনায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির বর্তমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদককে মধ্যে গাড়ির সিরিয়াল নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। সেই জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে হামলার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদের শনাক্তসহ আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।