লালপুর মাদ্রাসার সভাপতি মাসিক বেতন বিলে স্বাক্ষর না করায় শিক্ষক-কর্মচারীর মানবেতর জীবন


editor প্রকাশের সময় : মে ৩১, ২০২৪, ১২:১১ পূর্বাহ্ণ /
লালপুর মাদ্রাসার সভাপতি মাসিক বেতন বিলে স্বাক্ষর না করায় শিক্ষক-কর্মচারীর মানবেতর জীবন

স্টাফ রিপোর্টার: নাটোরের লালপুর উপজেলার বেরিলাবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মোর্শেদ কাজল রনি শিক্ষকদের মাসিক বেতন বিলে স্বাক্ষর না করায় গত এপ্রিল মাসের বেতন তুলতে পরেননি শিক্ষক-কর্মচারীগণ। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওি মাদ্রাসার ২১ জন শিক্ষক ও কর্মচারী।
জানা গেছে,সরকার মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহের ( মাদ্রাসা) শিক্ষক-কর্মচারীগনের প্রতি মাসের বেতর-ভাতাদির সরকারি অংশের ৪ টি চেক অনুদান বন্টনকারী অগ্রনী ও রুপালী ব্যাংক লিমিটেড প্রধান কার্যালয়
এবং জনতা ও সোনালী ব্যাংক লিমিটেড স্থানীয় কার্যালয়ে প্রতি মাসের ০৩ থেকে ০৭ তারিখের মধ্যে প্রেরণ করা হয়। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এপ্রিল-২০২৪ মাসের চেক ও প্রেরন করা হয়েছিল। কিন্তু মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বেতন বিলে স্বাক্ষর না করায় শিক্ষকদের বেতন বিল ব্যাংকে জমা দিতে পারেননি মাদ্রাসা সুপার অজিফা খাতুন। একারণে আজ পর্যন্ত ব্যাংক থেকে টাকা উত্তলোন করতে পরেননি শিক্ষক-কর্মচারীগণ।
ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন এবং চরম হতাশা ও বিপাকে পড়েছেন তারা।
ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আতাউর রহমান জানান,প্রতি মাসের ৩ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে ব্যাংক হিসাবে চলে আসে বেতনের টাকা। বেতনের ওই টাকায় কোনোরকমে সংসার চলে। ঐ টাকায় চলে সংসারের যাবতীয় খরচ,ওষুধ কেনা ও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ। মাসের শেষে এসেও বেতন না পাওয়ায় বহু কষ্টে আছি বলে জানান তিনি। মাদ্রাসার সুপারও কোনো সমাধান দিতে পারছেন না। অপর শিক্ষিকা মাহমুদা খাতুন বলেন,প্রায় ৩০ কি:মি: দুর থেকে মাদ্রসায় ক্লাস করি। আমার যাতায়াতে প্রতিদিন ১০০ টাকার মতো খরচ হয়। এখন আমার যাতায়াত খরচ জোগান দেয়া কষ্ট হয়ে উঠছে।
ওই মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক জানান,সুপারের সাথে সভাপতির ব্যক্তিগত কিছু বিষয় থাকতে পারে একারনে শিক্ষকরা কেন বেতন না পেয়ে কষ্ট করবে। এবিষয়ে পরিচালনা কমিটিও কোনো সমাধান দিতে পারছেন না।
এবিষয়ে মাদ্রাসার সুপার অজিফা খাতুন বলেন,আমি কর্মচারীকে দিয়ে বেতন বিল নিয়ে স্বাক্ষরের জন্য একাধিক বার সভাপতির নিকট পাঠিয়েছি। তিনি বেতন বিলে স্বাক্ষর না করে ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং সে বেতন বিলে স্বাক্ষর করবে বলে ছাপ জানিয়েছেন।
এ নিয়ে কথা হয় সভাপতি মোরশেদ কাজল রনির সঙ্গ। তিনি বলেন,এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপারের সঙ্গে আমার হিসাব আছে। আপনি আমার সঙ্গে কথা না বলে সুপারের সঙ্গে কথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন,এবিষয়ে সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থানীয় ভাবে নিরসন করার পরামর্শ দেন তিনি।