বড়াল নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ, স্থান পরিদর্শন করেন যুগ্ম সচিব


editor প্রকাশের সময় : মে ১৯, ২০২৪, ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ /
বড়াল নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ, স্থান পরিদর্শন করেন যুগ্ম সচিব

মোহা: আসলাম আলী স্টাফ রিপোর্টার : নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর পদ্মার শাখা বড়াল নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ স্থান পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব শাহাদাত হোসাইন।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকাল ৪টার দিকে জামনগর বড়াল নদীর ব্রীজ নির্মাণের ওই স্থান পরিদর্শন করেন তিনি।

জানা যায়,রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার গোচর, কুশাবাড়িয়া,জোতরঘু,হামিদকুড়া, নাটোরের বাগাতিপাড়ার জামনগর, বাঁশবাড়িয়া,কালিকাপুর,দোবিলা, মুন্সিপাড়া,কৈচারপাড়া,করমদশি, ভিতরভাগ,মাঝপাড়া,গৈলারঘোপসহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য প্রায় ৫২ বছর থেকে দাবি করে আসছেন। এ ব্রীজ নির্মাণের জন্য স্থানীয়রা উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের মাধ্যমে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব শাহাদাত হোসাইন ওই স্থান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের ব্রীজ নির্মাণের বিষয়ে আস্বস্ত করেন তিনি।

এ সময় তার সাথে ছিলেন,উপ-সচিব সুমি মজুমদার,১০০ মিটার ব্রীজ বাস্তবায়ন প্রকল্পের পিডি কাওছার আলম,বাঘা উপজেলা প্রকৌশলী বেলাল হোসেন। স্থানীয় জামনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানি,আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতি,সাবেক সভাপতি শহীদুজ্জামান শাহীদ,বাঘা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কামরুজ্জামান নিপন,সাইদুল ইসলাম,কাউন্সিলর নওশাদ আলী,গোচর ওয়ার্ড আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক মজবুল হোসেন লাল্টু প্রমুখ।
উল্লখ্য বর্তমান আশপাশের ওইসব

গ্রামগুলোতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। নদী বিধৌত গ্রামগুলো সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত। কৃষকরা জানান,জামনগর-গোচর এলাকায় বড়াল নদীর উপর ব্রীজ না থাকায় ওই অঞ্চলের উৎপাদিত কৃষিপন্যের ন্যাজ্য মূল্য পাননা তারা। ন্যাজ্য মূল্য না পাওয়ার প্রধান অন্তরায় বড়াল নদীর উপর ব্রীজ না থাকা। দির্ঘদিন থেকে ২০ গ্রামের মানুষ একটি ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন। সেখান একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলে বদলে দিতে পরে ওই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য। এলাকাবাসী জানান,বিভিন্ন সময়ে জাতীয় সংসদ,উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে প্রার্থীরা ব্রীজটি নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। কিন্তু ক্ষমতায়নের পর তারা আর খোঁজ-খবর নেননা এবং কেহইতা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেননা। বাঁশের সাকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে
মালামাল পারাপারের সময় প্রায় দূর্ঘটনার শিকার হন অনেকে।

স্থানীয় মাহাতাব আলী বলেন,ব্রীজের অভাবে তাদের উৎপাদিত কৃষি পন্য সঠিকভাবে বাজার জাত করতে পারেননা। ইত:পুর্বে প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। এবার বড় এক কর্মকর্তা এসে পরিদর্শন করলেন। আমরা আশাবাদী আগামীতে ব্রীজ নির্মাণ করা হবে ইনশাআল্লাহ।

আড়ানী পৌর আ’লীগ সাবেক সভাপতি ও কুশাবাড়িয়া গ্রামের শহীদুজ্জামান শাহীদ বলেন,জামনগর-গোচর বড়াল নদের উপর ব্রীজ নির্মান করা হলে প্রায় ২০ গ্রামের মানুষের কৃষি পণ্য বাজার জাত করনে সহজ হবে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত হবে। এছাড়া মানুষকে বর্ষা মৌসুমে নৌকায় ও শুস্ক মৌসুমে বাঁশের সাকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হতো।
ফলে ব্রীজটি নির্মান হলে ২০টি গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ লাঘব হবে।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা প্রকৌশলী বেলাল হোসেন বলেন,জামনগর-গোচর বড়াল নদের উপর ব্রীজ নির্মানের ব্যাপারে কাগজপত্র মন্ত্রনালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তারই পেক্ষিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব শাহাদাত হোসাইন স্যার ব্রীজ নির্মান স্থান পরিদর্শন করেছেন। আগামী অর্থ বছর ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।