স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পবা উপজেলায় কোল্ড স্টোরেজ বন্ধ থাকায় মারাত্মক সংকটে পড়েছেন স্থানীয় আলু চাষি ও ব্যবসায়ীরা। আলু চাষি–ব্যবসায়ীদের অভিযোগ বস্তা প্রতি অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও ডিজিটাল মিটারের মাধ্যমে পরিমাণ কম দেখানোর অভিযোগে কোল্ড স্টোরেজগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে পচনশীল আলু সংরক্ষণের সুযোগ না পেয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। এতে ইতোমধ্যেই শতকোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই সংকট নিরসনে ‘রাজশাহী জেলা কৃষক ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি’ নামে ২১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল আহাদ এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন আলহাজ্ব মিঠু আহমেদ।
শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে বায়া এলাকার উত্তরা কোল্ড স্টোরেজসহ আসমা, সরকার ও রহমান সীর্স কোল্ড স্টোরেজের সামনে স্থানীয় চাষি ও ব্যবসায়ীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তাদের অভিযোগ, প্রতি মণ আলু সংরক্ষণে সরকারি নির্ধারিত মূল্যকে উপেক্ষা করে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ডিজিটাল মিটারের মাধ্যমে আলুর প্রকৃত পরিমাণ কম দেখিয়ে প্রতারণাও করা হচ্ছে। উপজেলার কয়েকটি কোল্ড স্টোরেজ ঘুরেও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি বলে জানান আন্দোলনকারীরা। সমাধানহীন এই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
আলু সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় অনেক আলু ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। এই ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব শুধু কৃষক বা ব্যবসায়ী পর্যায়ে সীমাবদ্ধ না থেকে উত্তরবঙ্গের কৃষি অর্থনীতির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নবগঠিত ‘রাজশাহী জেলা কৃষক ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি’র অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি আলম আলী, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গাফফার, কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব আব্দুস সালাম হাজী, সহ-কোষাধ্যক্ষ আলমগীর ও শামীম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুদ্দীন প্রমুখ।
এই কমিটির পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, রোববার (১৫ জুন) সকাল ১০টার মধ্যে কোনো কার্যকর সমাধান না মিললে তারা মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর আন্দোলনে নামবেন।
এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য বা উদ্যোগ পাওয়া যায়নি। তবে ভুক্তভোগীরা দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন, যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং কৃষি খাত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে না পড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :