ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দেবেন ট্রাম্প, আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে প্রতিরক্ষা ব্যয়


editor প্রকাশের সময় : জুন ৪, ২০২৫, ৪:১৬ অপরাহ্ণ /
ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দেবেন ট্রাম্প, আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে প্রতিরক্ষা ব্যয়

অনলাইন ডেস্ক : চলতি জুন মাসের শেষ দিকে নেদারল্যান্ডসের হেগে অনুষ্ঠেয় ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্মেলনে তাঁর প্রধান দাবি থাকবে সদস্য দেশগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি, সেটিই হবে পুরো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, ন্যাটো মিত্ররা যুক্তরাষ্ট্রের মতো নিজেদের অংশের খরচ বহন করছে না। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিই হবে ন্যাটো সম্মেলনে তাঁর প্রথম অংশগ্রহণ।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, তিনি (ট্রাম্প) ন্যাটো সম্মেলনে যাচ্ছেন।’

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধও এই সম্মেলনের আলোচনায় থাকবে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন যে, তাঁর দেশকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

যদিও গত ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল।

প্রথম মেয়াদে ন্যাটো থেকে পুরোপুরি যুক্তরাষ্ট্রকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এরপর থেকে তিনি বলছেন, কেবল যারা প্রতিরক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যয় করছে, তাদেরই তিনি সহায়তা করবেন।

এছাড়াও ইউরোপ থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে চীনসহ অন্যান্য হুমকির দিকে মনোযোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এমনকি কানাডা ও ডেনমার্ক ভূখণ্ড নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ওই দুই মিত্রের সঙ্গেও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

ট্রাম্পের মূল দাবি হল, প্রতিটি ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রকে জিডিপির কমপক্ষে ৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করতে হবে। তাঁর ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্র একাই সবার খরচ বহন করছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোর ৩২টি সদস্য দেশের কেউই এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করছে না।

ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করতে ন্যাটোর মহাসচিব ও নেদারল্যান্ডসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে একটি সমঝোতা প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে ২০৩২ সালের মধ্যে জিডিপির ৩.৫ শতাংশ সরাসরি প্রতিরক্ষা খাতে এবং ১.৫ শতাংশ নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাতে ব্যয়ের লক্ষ্য নির্ধারণের কথা বলেছেন তিনি।

এই প্রস্তাবকে ‘জয়’ হিসেবে দেখাতে পারেন ট্রাম্প, কারণ এতে তার ঘোষিত লক্ষ্য কিছুটা হলেও পূরণ হবে।