গৃহকর্মীকে নির্যাতন : পরীমনির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা


editor প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২২, ২০২৫, ৯:১৯ অপরাহ্ণ /
গৃহকর্মীকে নির্যাতন : পরীমনির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

অনলাইন ডেস্ক : চিত্রনায়িকা পরীমণির এক বছরের মেয়ে সন্তানকে খাবার খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগে পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী গৃহকর্মী পিংকি আক্তার। মামলায় পরীমনির সঙ্গে আসামি করা হয়েছে একই ফ্ল্যাটে বসবাসরত সৌরভ (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগটি তদন্ত করে তদ সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আগামী ৮ মে’র মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাসিদুস জামান নিশান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বাদী ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার (২৪) নেত্রকোণা জেলা সদরের মৌগাতী ইউনিয়নের ফাদুলিয়া গ্রামের মো. মোজাম্মেলের মেয়ে।

বাদী অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের মার্চে মামলার বাদী পিংকি আসামিদের বাসায় কাদের এজেন্সী নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গৃহপরিচারিকার কাজের জন্য চাকুরি গ্রহণ করেন। একটি বাচ্চাকে দেখাশোনার দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলে এজেন্সী হতে বাদীকে আসামিদের বাসায় নিয়োগ দেওয়া হলেও বাদীকে দুটি বাচ্চার দায়িত্ব পালন করতে হত। এছাড়াও বাদীকে দিনে ও রাতে উভয় সময় বাসার রান্নার কাজ করতে হত। তবুও বাদীর চাকুরি একান্ত আবশ্যক হওয়ায় বাদী সব কিছু মুখ বুঝে সহ্য করে আন্তরিকতার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

তবে চলতি বছরের ২ এপ্রিল দুপুর ১টায় আসামি পরীমনি তার মেকআপ রুম হতে মাদক গ্রহণ করে বাচ্চার রুমে এসে বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। বাদী গালিগালাজ কেন করছেন জানতে চাইলে পরীমনি বলে ‘তুই আমার বাচ্চার জন্য দুধ কেন তৈরী করছিস, এখন ওকে সলিড খাবার দিবি।’ বাদী বলে, ‘বাচ্চার খাওয়ার রুটিন অনুসারে এখন দুধ খাওয়ানোর কথা, তাই আমি দুধ তৈরি করেছি।’

এ সময় পরীমনি ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীর মাথায়, মুখে ও চোখে এলোপাতারিভাবে চড়-থাপ্পড় মেরে আহত করেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী বাদী পিংকি পরীমনির মারধরে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পর বাদী ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য ভুক্তভোগী পিংকি তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য পরীমনিকে অনুরোধ করতে থাকেন। ঘটনার সময় ২নং আসামি সৌরভ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আসামিরা বাদীর কোনো কথা শুনেন নাই। উপরন্তু আসামি সৌরভ পিংকিকে নির্যাতন করার জন্য পরীমনিকে উৎসাহিত করতে থাকেন এবং বাদীকে বাসার বাইরে যাওয়া থেকে বিরত করেন।

পরে ভুক্তভোগী পিংকি ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে যান। পরে ভুক্তভোগী পিংকি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল হতে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার গত ৪ এপ্রিল ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে এটির কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য না করে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।