অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ফাস্ট-ফুড চেইন কেএফসির কয়েকটি আউটলেটে হামলা চালানোয় পাকিস্তানে ১৭০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলের বর্বরতা ও এতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে এসব হামলা চালিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রাজধানী ইসলামাবাদ, বন্দর নগরী করাচি, লাহোরসহ বড় শহরগুলোতে কেএফসির অন্তত ১১টি আউটলেটে লাঠি নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসবে জড়িত থাকায় ১৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কেএফসি এবং এটির পেরেন্ট কোম্পানি, ইয়ুম ব্র্যান্ডস— দুটিই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক। পাকিস্তানে আউটলেটে হামলার ঘটনায় তারা এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ সপ্তাহে কেএফসির এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাত বন্দুকধারী। তবে ওই সময় কোনো বিক্ষোভ চলছিল না। কেএফসির এ কর্মীকে কেন হত্যা করা হয়েছে, সেটির কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
লাহোরের পুলিশ জানিয়েছে, তারা কেএফসির ২৭টি আউটলেটে নিরাপত্তা দিচ্ছে। যেগুলোর মধ্যে দুটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর পাঁচটিতে হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে।
পাকিস্তানের ইসলামপন্থি ধর্মীয় দল তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের (টিএলপি) এক সদস্যকে ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এই দলটি বিক্ষোভের আয়োজন করেনি বলে নিশ্চিত করেছেন লাহোরে পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ফয়সাল কামরান।
টিএলপি-র মুখপাত্র রেহান মোহসিন বলেছেন, তারা মুসলিমদের ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু কেএফসির বাইরে কোনো ধরনের বিক্ষোভের ডাক দেননি।
আপনার মতামত লিখুন :