বাঘায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ উদযাপন 


editor প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৫, ২০২৫, ১২:১৫ অপরাহ্ণ /
বাঘায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ উদযাপন 
স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাঘায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ১৪ ই এপ্রিল উপজেলা চত্বরে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য আনন্দ শোভাযাত্রা, রচনা প্রতিযোগীতার পুরুষ্কার বিতরণী, দিনব্যাপি গ্রামীন মেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবে মেতে উঠে বিভিন্ন পেশার নানা বয়সী লোকজন।
এসময় বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য, বর্ষবরণ শোভাযাত্রার ইতিহাস ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যর বিষয়টি তুলে ধরা হয়। ধর্ম, বর্ণ সব পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে বাঙালি জাতি নববর্ষকে সাদরে আমন্ত্রণ জানায়। বাঙালি জাতিকে একত্র করে জাতীয়তাবোধে। এ অনুষ্ঠান পরিণত হয় বাঙালির শিকড়ের মিলনমেলায়।
সকাল ৯ টায় বর্ষবরন শোভাযাত্রা ও দিন ব্যাপি মেলার উদ্বোধন পরবর্তী বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান শুরু হয় জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে শুরু হয় গ্রামীণ ঐতিহ্য লাঠি খেলা। লাঠি খেলায় ঢোল বাদক হিসেবে অন্যান্যর মধ্যে অংশ নেন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান শফি। অনুষ্ঠানকে প্রানবন্ত করতে দলীয় লোকজন নিয়ে মহিষের গাড়ীতে ঘুরে বেড়ান রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাদ।
উপজেলা প্রশাসন কতৃক উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত উৎসবে স্টল ঘুরে দেখা যায়, বাঙালির শিল্প নৈপুণ্য ও সৃজনশীলতার প্রতীক ঐতিহ্যবাহী পণ্য ও হস্তশিল্পের পণ্য কিনে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেদের সংযুক্ত করেন উৎসবে আসা মানুষ। বিশেষ করে পান্তাভাত, নানা ধরনের পিঠা,ইত্যাদি খাবারের সমাহার ছিল দিনব্যাপি উৎসবে। পৈত্রিক পেশার ঐতিহ্য ধরে রেখে মাটির তৈরি জিনিসপত্রের স্টল সাজিয়ে বসেন বাঘা পৌর সভার নারায়নপুর গ্রামের কুশ পাল। স্বপ্ন ছোঁয়া যুব মহিলা সংগঠনের স্টলে গিয়ে দেখা গেলো হাতের নকশিকরা পোষাক।
পান্তা ভাত পিঠা পুলির স্টল সাজিয়ে বসেন উপজেলা গার্লস গাইড। তাদের মতো বিভিন্ন পণ্যর ৮টি স্টলের দেখা মেলে নববর্ষ উদযাপন উৎসবে। পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে কাঠের তৈরি খড়ম পায়ে দিয়ে উৎসবে যোগ দেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আফম হাসান।
নববর্ষ অনুষ্ঠানে আসা কলেজ শিক্ষার্থী এসএম বাবু বলেন, দাদার কাছে কাঠের তৈরি খড়মের গল্প শুনেছি। উৎসবে এসে নিজ চোখে দেখলাম। এছাড়াও লাঠি খেলা,মাটির তৈরি জিনিসপত্র দেখে মুগ্ধ হয়েছি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) সাবিহা সুলতানা ডলি,অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফকরুল হাসান বাবলু, সাবেক সভাপতি সহকারি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম,বাঘা পৌর বিএনরি সভাপতি কামাল হোসেন,সাধারন সম্পাদক তফিকুল ইসলাম,সাবেক সাধারন সম্পাদক সুরুজ্জামান সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ-শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাম্মি আক্তার  বলেন,হরেক রকম মেলার দিনও নির্ধারিত ছিল বাংলা সনের হিসেবে। শুধু ফসল আর উৎসব নয়, বাঙালি কৃষকের পারিবারিক ও সামাজিক কাজকর্ম, বিয়েসহ জীবনের সব বিষয়েই বাংলা সন ছিল একক ও অনন্য।