স্টাফ রিপোর্টার : সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করার অভিযোগ আওয়ামী দোসর যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত, বিনোটিয়া গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল কবিরাজ রেজাই গালা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শাহজাদপুর থানা।
সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে গালা ইউনিয়নের সাইদুর রহমানের ও তার স্ত্রীর পৈত্রিক জমি ছাড়া হওয়ার আতঙ্কে রয়েছে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের পরিবার। অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, তিনি সেনাবাহিনীতে সার্জেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সূত্রে জানা যায়, শনিবার ১৪ জুন দুপুরে। অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মো: সাইদুর রহমানের ও তার স্ত্রীর পৈত্রিক জমির পাশে যুবলীগ নেতার জমি। সাইদুর রহমান আজ শনিবার দুপুরে জমি মাপার জন্য সার্ভেয়ার সহ জমির ওপর গেলে স্থানীয় গালা ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মো: রেজাউল কবিরাজ রেজাই জমি মাপতে বাঁধা প্রদান করে, গালাগালি করার এক পর্যায়ে মারধর করতে তেড়ে আসে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের জমি দখলের চেষ্টা করে এবং ভবিষ্যতে ক্ষতি করারও কথা বলেন।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “যুবলীগ নেতা দীর্ঘ দিন থেকে তার বেশ কিছু জমি ভরাট করে দখল করে রেখেছে। তিনি জমি মাপজোখ করে সীমানা করার জন্য আজ দুপুরে সার্ভেয়ার নিয়ে যান সে সময় স্থানীয় লোকজনও ছিলো। কিন্তু যুবলীগ নেতা মাপজোখ করতে বাধা প্রদান করে গালাগালির সময় মেরে ফেলারও হুমকি প্রদান করে।”
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দুর্র্ধষ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, “যুবলীগ নেতা রেজাউল কবিরাজ রেজাই এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী সে আমার জমির কিছু অংশ দখল করে তার নিজের জমি বলে দাবি করছে আমি চাই জমি মেপে যার যতটুকু জমি সে সীমানা দিয়ে রাখবে। কিন্তু এই কাজে যুবলীগ নেতা রাজি না। সে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি দখল করে রেখেছিলো এখনও সেই কাজই করছে। আমি এখন হুমকির মুখে আতংকিত আছি। সে একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক যে কোন সময় আমার ক্ষতি করতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “আমি পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করছি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে।”
স্থানীয় বাসিন্দা জানান “যুবলীগ নেতা রেজাই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাকে জমি মাপতে বাঁধা দেন, সার্ভেয়ার ভয়ে লুকিয়ে ছিলো, সে আমাদের সামনেই সেনা কর্মকর্তা সাইদুর রহমানকে তেড়ে তেড়ে মারতে আসে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা জানান “যুবলীগ নেতা রেজাই আওয়ামী লীগের সময়ও এলাকায় মাস্তানি করে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন অপরাধ মুলক কাজ করতো, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরও তার দাপট কমেনি আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি তাকে আাইনের আওয়াত আনা হোক।”
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর এখনো আওয়ামী দোসর যুবলীগ নেতা রেজাউল কবিরাজ রেজাই এর ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না অনেক ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে, যুবলীগ নেতা রেজাউল কবিরাজ রেজাই এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার তার মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেনি।
আপনার মতামত লিখুন :