মাইনুল ইসলাম রাজু,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার আমতলী উপজেলার ১নং গুলিশাখালি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডঃ এইচ এম মনিরুল ইসলাম (মনি) বিরুদ্ধে রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপ, অনিয়ম, জালিয়াতিসহ দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনে বরগুনা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ইউনিয়নের ৯ জন ইউপি সদস্য। তারা ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, গুলিশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডঃ এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি খুনি, ফ্যাসিষ্ট ও পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে জুলাই আন্দোলনে মিছিল মিটিংসহ সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছেন। তিনি ছাত্র জনতার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন। তিনি বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার জন্য তার বাড়িতে গভীর রাতে তাহার দুই ভাতিজা (১) ফজলে রাব্বি সিফাত, সহ- সভাপতি বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ, (২) মনজুরুল ইসলাম রিফাত সহ- সভাপতি, আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগসহ তাহার সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ কর্মীদের নিয়ে গোপনে বৈঠক করে ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করেন। তিনি পরিষদ বা রাষ্ট্রের স্বার্থের হানিকর কাজে জড়িত ছিলেন এবং এখনো জড়িত রয়েছেন। যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া পরিষদের ৫টি সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। পরিষদের কোন কার্যক্রমে উপস্থিত থাকেন না। তিনি জনসাধারণকে কোন সেবা দিচ্ছেন না। মহিলা সংরক্ষিত সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন। ঘুষের বিনিময়ে ভাতা অনুমোদন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরিষদের ও সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করা। ৫ আগস্ট থেকে শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনার পক্ষে সভা সমাবেশ ও মিছিল করেন এবং আমতলী উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাংচুর করায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় তিনি পলাতক রয়েছেন। ভোট ডাকাতি ও সন্ত্রাসী করে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান হওয়ায় এলাকার জনসাধারণ তার উপর ক্ষিপ্ত ফলে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। অনুমতি ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি’র ছত্রছায়ায় এলাকায় ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করেছেন। ‘চিতা বাহিনী’ নামে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে। ওই বাহিনী অনেক মানুষকে কুপিয়ে আহত করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে কেউ মামলা করতে সাহস পায়নি। এমন ১০ টি অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে লিখিত অনাস্থা দেয় ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৯ জন ইউপি সদস্যরা।
ওই বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডঃ এইচ এম মনিরুল ইসলাম মনির সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযেগ করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খান বলেন, গুলিশাখালি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের ‘অনাস্থা’ পত্র পেয়েছেন। পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :