রাজশাহীতে কথিত অ্যাপে ৮৭ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে মামলা


editor প্রকাশের সময় : মার্চ ১৪, ২০২৫, ৮:১৫ অপরাহ্ণ /
রাজশাহীতে কথিত অ্যাপে ৮৭ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে ‘ইউএস অ্যাগ্রিমেন্ট’ নামের একটি মুঠোফোন অ্যাপের মাধ্যমে ৮৭ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে মামলা হয়েছে। বুধবার চন্দ্রিমা থানার আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম। পরদিন বৃহস্পতিবার আদালত মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন চন্দ্রিমা থানার ওসিকে।

মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম রাজশাহীর উপরভদ্রা এলাকার বাসিন্দা। তার আইনজীবী শামীম আখতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন- ইউএস অ্যাগ্রিমেন্টের বাংলাদেশ প্রধান সজীব কুমার ভৌমিক ওরফে মাহাদী হাসান (৩৩), কান্ট্রি লিডার মোতালেব হোসেন ভূঁইয়া (৩৫), রাজশাহী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক ওয়াহেদুজ্জামান সোহাগ (৩৮), সোহাগের স্ত্রী ও রাজশাহী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক ফাতেমাতুজ জহুরা মিলি (৩২), রাজশাহীর এজেন্ট মিঠুন মণ্ডল (৩৬), ওয়াজেদ আলী খেবির (৬০), মোজাহার আলী (৫৫) ও মো. ওবাইদুল্লাহ (৪৩)।

অভিযুক্তদের মধ্যে সজীব কুমার ভৌমিক নোয়াখালীর, মোতালেব হোসেন লক্ষ্মীপুরের, ওবাইদুল্লাহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের এবং বাকিরা রাজশাহীর বাসিন্দা।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, প্রতারণার শিকার হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। এর মধ্যে মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম বিনিয়োগ করেছিলেন ১৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া মামলার সাক্ষী জাকির হোসেন ১২ লাখ, শারমীন সুলতানা ২০ লাখ, তাহেরুল ইসলাম ৬ লাখ, রাজীব সাহা ১৭ লাখ, আনোয়ার হোসেন ৮ লাখ ও আশরাফুল রহমান ৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বলে মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে। হাতিয়ে নেওয়া মোট অর্থের পরিমাণ ৮৭ লাখ টাকা।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা ‘ইউএস অ্যাগ্রিমেন্ট’ নামের অ্যাপে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতি ১ লাখ টাকায় মাসে ১১ হাজার ২০০ টাকা লাভের প্রলোভন দেখান। এক সেমিনারের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা হয় এবং ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর তারা টাকা বিনিয়োগ করেন। তবে অ্যাপে কখনো কোনো মুনাফা আসেনি এবং প্রতিশ্রুত মূলধনও ফেরত পাননি বিনিয়োগকারীরা।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি মামলার বাদী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে অভিযুক্তদের কয়েকজনের দেখা হলে তিনি টাকা ফেরতের দাবি করেন। কিন্তু তারা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং ভবিষ্যতে টাকা চাইলে ক্ষতি করার হুমকি দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাইফুল ইসলাম মামলা করেন।

আইনজীবী শামীম আখতার জানান, রাজশাহীর আদালতে এর আগেও একই ধরনের কয়েকটি মামলা হয়েছে এবং আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। নতুন মামলাটির পরবর্তী শুনানির তারিখ ২৯ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছে।