“দেশের সংকট নিরসনে জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই” : মিলন


editor প্রকাশের সময় : জুন ১২, ২০২৫, ১১:২৯ অপরাহ্ণ /
“দেশের সংকট নিরসনে জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই” : মিলন

স্টাফ রিপোর্টার : পতিত সরকারের প্রধান হাসিনা প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো দেশে থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন।

তিনি বলেন, ‘এই চক্র দেশে নানাভাবে বিশৃঙ্খলা ও সংকট তৈরি করছে। এমনকি জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্রও তারা করছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের সংকট নিরসনে জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।’

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়ন বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি হাট রামচন্দ্রপুর কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

মিলন বলেন, ‘ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলের আন্দোলনকে হাইজ্যাকের চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু দেশের মানুষ তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। জনগণ এখন একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন চায়। বিএনপি ও তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো বিগত সতেরো বছর ধরে এই দাবিতে আন্দোলন করে আসছে এবং তা এখনো অব্যাহত রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের কথা বললেই কিছু দলের গাত্রদাহ হয়। অথচ তারাই আবার প্রার্থী বাছাই ও নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে। তারা ভাবছে, নির্বাচন পেছালেই সুবিধা পাবে—কিন্তু তা এত সহজ নয়।’

মিলন আরও বলেন, ‘বিএনপিকে দেশের মানুষ চারবার সংসদে পাঠিয়েছে। বিএনপি কি তাহলে নির্বাচন চাইবে না? বিএনপি হচ্ছে এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। আপসহীন নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কোনো সংঘাত নয়, বরং আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।’

তিনি জানান, ‘সংকট নিরসনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সম্ভাব্য প্রধান ড. ইউনুস বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। আজ সকাল সোয়া ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়ান টু ওয়ান মিটিং অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকের দিকে পুরো জাতি তাকিয়ে আছে।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় নিয়েও বক্তব্য রাখেন এডভোকেট মিলন। তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের এপ্রিল মাসে মুসলমানদের বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং রমজান ও ঈদ রয়েছে। ওই সময় নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ, নির্বাচন শুরু করলে পঁয়তাল্লিশ দিনের সময় লাগে। সে কারণে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। এ বিষয়ে কোনো তালবাহানা বরদাস্ত করা হবে না।’

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

অনুষ্ঠানে পারিলা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মোকলেসুর রহমান রেন্টুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—জেলা বিএনপির সদস্য শেখ মকবুল হোসেন, পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ ও আব্দুস সালাম মাস্টার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মজিবুর রহমান ও সদস্য সচিব বাদশা মিয়া, হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন ও সদস্য সচিব মোতাহার হোসেন, হড়গ্রাম ইউনিয়নের সদস্য সচিব সান্নান, দামকুড়া ইউনিয়নের আহ্বায়ক এনামুল হক কনক ও সদস্য সচিব নওশাদ আলী, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোজাফফর হোসেন, পবা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুন আক্তার, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তাইজুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা ও হাবিবুর রহমান, পবা উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব তরকিউল ইসলাম সুইট এবং পবা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান।

এছাড়া বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আরও অনেক নেতাকর্মী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।