স্টাফ রিপোর্টার : সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস। সারা দেশের ন্যায় রাজশাহীতে নানা কর্মসূর্চির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপিত হয়। দিবসটির এ বারের প্রতিপাদ্য- “দ্বন্দ্বে কোনো আনন্দ নাই, আপস করো ভাই, লিগ্যাল এইড আছে পাশে, কোনো চিন্তা নাই”।
এ উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে আটটায় রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ গোলক চন্দ্র বিশ্বাস। পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বর হতে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর প্রদক্ষিণ করে জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে শেষ হয়। র্যালি শেষে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় গোলক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে ২০০০ সালে এই আইনটি তৈরি করা হয়েছিল তা অনেকটা বাস্তবায়িত হয়েছে। এই আইন হওয়ার আগেও আমরা মানুষদের আইনগত সহায়তা দিয়ে এসেছি। হয়তো সেটা আইনের আওতায় ছিল না। পরে সরকার সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বিনামূল্যে বিচারপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে এ আইনটি পাশ করে।
তিনি বলেন, সংবিধানে যখন কোনো অধিকারের কথা বলা থাকে তখন সেটা হয়ে যায় সাংবিধানিক অধিকার। সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছেÑ সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। এই অধিকার রাষ্ট্রকে শ্রদ্ধা করতে হবে ও বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি এক সময় এটা পূর্ণতা পাবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার লিগ্যাল এইড সেবা দিতে সারাদেশে জনবল বৃদ্ধি করেছে। ভবিষ্যতে জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থাকে একটি অধিদপ্তর করার পরিকল্পনা সরকারের আছে বলেও জানান তিনি। এটা তৈরি হলে সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।
রাজশাহী জেলায় বিনামূল্যে আইনি সেবা প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিনা খরচে সরাসরি সেবার পাশাপাশি জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে আইনি পরামর্শ ও তথ্য সেবা পেতে কল করুন তাদের হটলাইন নাম্বারেÑ ০১৭০০৭৮৪২৮৮।
অনুষ্ঠানে মহানগর দায়রা জজ আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হামিদুল ইসলাম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মালেক, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মো. গোলাম রাব্বানী শেখ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে কুলসুম সম্পাসহ প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, এনজিও প্রতিনিধি, উপকারভোগী এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :