স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি পৌর মেয়র আক্কাছ আলীকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বাঘা থানার তদন্ত ওসি সোয়েব খান বলেন, শনিবার (৬ জুলাই) ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে রাজশাহীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাদিউজ্জামান ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার (৫ জুলাই) ঢাকা থেকে আক্কাছ আলীকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। শনিবার (৬ জুলাই) আক্কাছ আলীকে রাজশাহীতে আনা হয় এবং জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আক্কাছকে আদালতে তোলা হয়।
কিন্তু মামলার নথি জজকোর্টে না থাকায় ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হলেও সেই দিন রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। সোমবার (৮ জুলাই) মামলার নথি এলে রিমান্ড শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এছাড়া এ মামলায় পাকুড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ, মারুফ হোসেন, তরঙ্গ আলী, শাজামাল লিটন, নাসির উদ্দিন, মতিউর রহমান, গোলাম মোস্তফাসহ গ্রেফতার ৭ আসামিকে ২৩ জুন রিমান্ড আবেদন করলে ২৭ জুন আদালত তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ২৮ জুন তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ২২ জুন সকাল ১০টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ডাকে উপজেলা পরিষদের সামনে মূল সড়কে বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলছিল। এ সময় আসামিরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
সেখানে কয়েকটি পিস্তলের গুলিবর্ষণ করা হয়। আতঙ্কে তারা মানববন্ধন ছেড়ে উপজেলা চত্বরের ভেতরে পালাতে গেলে আসামিরা এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ও পাথর ছোড়ে। এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম অডিটরিয়ামের সামনে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে গুরুতর জখম করে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে ২৬ জুন বিকালে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় বাঘা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে মেয়র আক্কাছকে প্রধান আসামি করে ৪৬ জন নামীয়সহ ২০০-৩০০ জনকে আসামি করে বাঘা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আপনার মতামত লিখুন :