মোহাঃ আসলাম আলী ,স্টাফ রিপোর্টার: নাটোরের লালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও ৫ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর পৌনে একটার দিকে ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক সড়কের লালপুর বাঘার সীমান্ত এলাকা তিনখুঁটি নামক
লালপুর উপজেলা পুলিশ বক্সের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন,উপজেলার উধনপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়া উধনপাড়া গ্রামের মাহাবুব আলম বিজলের স্ত্রী রুবিনা খাতুন (৩০) ও তাঁর মেয়ে রোকেয়া খাতুন রোকাইয়া (৪)।
আহতরা হলেন,ভ্যানের যাত্রী আবু বক্কারের ছেলে নিহতের স্বামী মাহাবুব আলম বিজল ও ভ্যানচালক পাইকপাড়া গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে সাজু (৩২)। অটোর চার্জার ভ্যানের আহতরা হলেন,বাঘার আলাইপুর গ্রামের হাসেম আলী (৬৫),হাসেমের ছেলে ছেলে ইউসুফ (৩৫) ও কাশেমের ছেলে সজিব (২২)।
লালপুর থানা ও বাঘা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,বৃহস্পতিবার ওই সময় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থেকে রোগী নিয়ে একটি মাইক্রোবাস (রেজিস্ট্রেশন নম্বর- ঢাকা মেট্রো চ-১১-৯০৪৩) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার সময় দুপুর পৌনে একটার দিকে ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক সড়কের লালপুর বাঘাা সীমান্ত এলাকা তিনখুঁটি নামক লালপুর উপজেলা পুলিশ বক্সের নিকট পৌঁছলে একই সময় চার্জার ভ্যানে উধনপাড়া গ্রামের মাহাবুব আলম বিজল,তাঁর স্ত্রী রুবিনা খাতুন ও তাঁদের মেয়ে রোকেয়া খাতুন রোকাইয়ার চিকিৎসা করে রাজশাহীর বাঘা থেকে বাড়িতে আসছিলেন। এই সময় মাইক্রোটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা ওই চার্জার ভ্যানকে মুখোমুখি ধাক্কা দিলে ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে মা ও মেয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। নিহতের স্বামী মাহাবুব আলম বিজন ও ভ্যানচালক সাজুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা (আরএমও) সুরুজ্জামান শামীম মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের স্বামী মাহাবুব আলম বিজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং ভ্যানচালক সাজুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন,বাঘার আলাইপুর গ্রামের হাসেম,ইউসুফ ও সজিব নামে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উধনপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন বলেন,নিহত রুবিনা খাতুন তাঁর বিদ্যালয়ে আয়া হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
লালপুর থান অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছিম আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ঘাতক ড্রাইভার সুকৌশলে পালিয়ে গেলেও মাইক্রো বাসটি লালপুর থানা পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।এ ঘটনায় নিহতের দেবর তোফাজ্জল হোসেন বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :