পদ্মা সেতুর দুই বছর: ১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা আয়


editor প্রকাশের সময় : জুন ২৬, ২০২৪, ১:৪০ পূর্বাহ্ণ /
পদ্মা সেতুর দুই বছর: ১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা আয়

অনলাইন ডেস্ক: উদ্বোধনের দুই বছরে পদ্মা সেতু থেকে এক হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা আয় হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। এই সময়ের মধ্যে এক কোটি ২৭ লাখ যানবাহন চলাচল করেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ১১৪তম বোর্ড সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ইতিহাসে যোগাযোগ খাতে সবচেয়ে বড় অবকাঠামো এই সেতুর ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষ উচ্চতায় পৌঁছে যায়। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পদ্মা নদী দিয়ে বিচ্ছিন্ন দক্ষিণকে মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে এক সুতায় বেঁধেছে।
সেতুর আয় সম্পর্কে ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ইতিমধ্যে পদ্মা সেতুর জন্য সুফল ভোগ করছে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার প্রায় ৩ কোটি মানুষ। যানচলাচল শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ২৭ লাখ যানবাহন পারাপার হয়েছে। মোট টোল আদায় হয়েছে প্রায় এক হাজার ৬৪৮ কোটি টাকারও বেশি। অর্থ বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ঋণ চুক্তি অনুযায়ী ৬ কিস্তিতে অর্থ বিভাগকে ৯৪৮ কোটি টাকা ইতোমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। ২৭ জুন ৭ম ও ৮ম কিস্তি বাবদ ৩১৪ কোটি টাকার চেক গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অর্থ বিভাগকে হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রসঙ্গে বলা হয়, এটা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)ভিত্তিক দেশের বৃহত্তম প্রকল্প। প্রকল্পটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। র‌্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিমি। গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করেন। ইতোমধ্যে ওঠানামার জন্য মোট ১৬টি র‌্যাম্প (এয়াপোর্টে ২টি, কুড়িলে ৩টি, বনানীতে ৪টি, মহাখালীতে ৩টি, বিজয়সরণীতে ২টি, ফার্মগেটে ১টি ও এফডিসি গেট সংলগ্ন ১টি) যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা আপাতত প্রতি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৭৪ দশমিক ৮১ ভাগ।
ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি এক্সপোর্ট ইমপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি)। প্রকল্পটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-ইপিজেড পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা। ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটির এলাইনমেন্টের মধ্যে ২১ কিলোমিটারে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৪৪ ভাগ।