দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত আ. লীগ নেতা বাবুলের মৃত্যু


editor প্রকাশের সময় : জুন ২৬, ২০২৪, ১০:৫৩ অপরাহ্ণ /
দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত আ. লীগ নেতা বাবুলের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: দুই গ্রুপের নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল (৫০) মারা গেছেন। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার সময় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
রামেক হাসপাতাল আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকর্মীদের এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথায় গুরুতর জখম হয়েছিল বাবুলের। এজন্য প্রচুর রক্তক্ষরণও হয়েছিল। ঘটনার পর রামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে তার জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপরই তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তবে মাথার যেখানে জখম ছিল সেখানে ইনফেকশন হয়ে গিয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত তাকে আর সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়নি। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এর আগে গত ২২ জুন রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ান স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মী। এতে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে বাবুলের অবস্থা ছিল আশংকাজনক। জমির দলিল রেজিস্ট্রির সময় দিনের পর দিন বাড়তি টাকা আদায় করে আসছে বাঘা উপজেলা দলিল লেখক সমিতি। উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ সমর্থন দিয়ে থাকে এই সমিতিকে। আর অন্য একটি অংশ অবস্থান নেয় দলিল লেখক সমিতির এই দৌরাত্ম্যের বিপক্ষে। দলিল লেখক সমিতিকে সমর্থন দেওয়া বা না দেওয়ার দ্বন্দ্বেই গত শনিবার (২২ জুন) সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ।
রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের দিন আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে কুপিয়ে ফেলে রাখা হয়েছিল। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বুধবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন বলে খবর পাই। নিহত বাবুলের মরদেহটি এখনও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই আছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া মারামারির ঘটনায় যে মামলাটি হয়েছিল, সেই মামলাটিই এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।