অনলাইন ডেস্ক : বৃহৎ পরিসরে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে তিন দেশ কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর বসতে যাচ্ছে। ১১ জুন ২০২৬ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ হবে মেক্সিকোর আজতেকা স্টেডিয়ামে। ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
আসন্ন বিশ্বকাপ হবে বেশ কিছু নতুনত্ব নিয়ে। বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টটিতে দল এবং ম্যাচসংখ্যাও বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। ৪৮ দলের এই আসরে ১০৪টি ম্যাচ হবে। যেখানে গত কাতার বিশ্বকাপে ৩২ দলের অংশগ্রহণে ম্যাচ সংখ্যা ছিল ৬৪টি। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনালসহ পুরো টুর্নামেন্টের ভেন্যু ও সূচি এরই মধ্যে প্রকাশ করেছে ফিফা।
আসন্ন টুর্নামেন্টে দল ও ম্যাচ সংখ্যা বাড়লেও আসরের সময় বাড়ছে না সেভাবে। যে কারণে একদিনে মাঠে গড়াতে পারে ৬টি ম্যাচও। এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া দলগুলো ১২ টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে লড়বে। প্রতিটি গ্রুপে চারটি করে দল থাকবে। সেখান থেকে গ্রুপের প্রথম দুই দল করে সুপার সিক্সটিনে কোয়ালিফাই করবে। স্বাগতিক হওয়ার সুবাদে মেক্সিকো ‘এ’ জোন, কানাডা ‘বি’ ও যুক্তরাষ্ট্র ‘ডি’তে পড়েছে।
বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব চলবে ২০২৬ সালের ১১ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত। শেষ ৩২ এর ম্যাচগুলো ২৯ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত হবে। মেক্সিকোর গুয়াদালাহারা ও যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া বাদে বাকি ১৪টি ভেন্যুতে হবে এই রাউন্ডের ম্যাচগুলো। এই রাউন্ডের দুটি করে ম্যাচ হবে লস অ্যাঞ্জেলস ও ডালাসে।
পরবর্তীতে শেষ ১৬ রাউন্ডের খেলা চলবে ৪ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত। কোয়ার্টার ফাইনাল হবে ৯ থেকে ১১ জুলাই, চারটি ম্যাচের ভেন্যু লস অ্যাঞ্জেলস, কানসাস সিটি, মায়ামি ও বোস্টন। দুটি সেমিফাইনাল হবে ডালাস ও আটলান্টায় যথাক্রমে ১৪ ও ১৫ জুলাই। মায়ামিতে ১৮ জুলাই হবে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। আর ১৯ জুলাই শিরোপার লড়াই।
গ্রুপ পর্বের ১০ ম্যাচসহ ১৩টি ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে কানাডার দুই শহর টরেন্টো ও ভ্যানকুবার। মেক্সিকোতেও হবে ১৩ ম্যাচ। মেক্সিকো সিটি, গুয়াদালজারা ও মনেটেরিতে হবে খেলা। যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহরে টুর্নামেন্টের বাকি ৭৮টি ম্যাচ মাঠে গড়াবে।
বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ আয়োজনের সৌভাগ্য রয়েছে আজকেতা স্টেডিয়ামের। এর চেয় বেশি বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন হয়নি অন্য কোথাও। যেখানে ১৯৭০ বিশ্বকাপে ফাইনালে ইতালিকে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল, পেলে জিতেছিলেন তার তৃতীয় বিশ্বকাপ। একই ভেন্যুতে শ্রেষ্ঠত্বে পূর্ণতা দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা। কিংবদন্তি পেলের বিশ্বকাপ জয়ের ১৬ বছর পর এই স্টেডিয়ামে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। মেক্সিকোর এই বিখ্যাত স্টেডিয়ামে ১৯৭০ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল ছাড়াও সবমিলিয়ে আরও ১৭টি ম্যাচ হয়েছে। ২০২৬ বিশ্বকাপের উদ্বোধনীসহ মোট পাঁচটি ম্যাচ হবে আজকেতায়।
এর আগে ১৯৯৪ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই বিশ্বকাপের কোনো স্টেডিয়ামে হবে না আগামী বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ। ৮২ হাজার ৫০০ দর্শক ধারণ ক্ষমতার মেটলাইফ স্টেডিয়ামে এই প্রথম হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের ম্যাচ। বৃহৎ এই ভেন্যুতে ফাইনাল ছাড়াও আসন্ন আসরের মোট সাতটি ম্যাচ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :