সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, ‘একটি প্রতিপাদ্য, একটি পোস্টার, একটি গান, একটি কবিতা’- মানুষকে জাগ্রত করে, মানবিক করে, দানবদের বিরুদ্ধে সোচ্চার করে। একেক সময় একেক ধরণের সংগীত ধারার জোয়ার থাকে। আমাদের মনে আছে, আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের সময় গণসংগীতের স্বর্ণালি যুগ ছিলো। সে সময় আমরা রাস্তায় রাস্তায় গণসংগীত করে মানুষকে জাগ্রত করেছি। সংগীত জাতীয়তাবাদের চেতনাকে জাগ্রত করে। সংগীত দিয়েই আমরা বিশ^কে দানবমুক্ত করতে চাই। মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তি সংগ্রাম, স্বাধিকার আন্দোলনসহ সকল সংগ্রাম ও দূর্যোগে মানবতার জন্য সংগীত ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা বড় ভূমিকা রেখেছেন। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে সাংস্কৃতি চর্চার ভূমিকা গৌরবোজ্জ্বল।
শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ যমুনা বিভাগ রাজশাহীর আয়োজনে বিশ^ সংগীত দিবস-২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সংসদ সদস্য। রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এরআগে সকালে একটি বর্ণ্যাঢ্য শোভাযাত্রা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য আরও বলেন, ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’ গোবিন্দ হালদার রচিত এবং আপেল মাহমুদের সুরে দেশাত্মবোধক বাংলা গান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কতটা অনুপ্রেরণা ছিলো তা সবারই জানা। মুক্তিযোদ্ধাদের সদা জাগ্রত রাখতে এই গান ক্যাম্পে ক্যাম্পে বাজানো হতো। সংগীত মুক্তির কথা বলে, মানবতার কথা বলে। এই সংগীত দিয়ে আমরা বিশ^কে মানবিক করতে চাই।
‘বিশ্ব জাগাও গানের সুরে বিশ্ব দানব পালাক দূরে’- প্রতিপাদ্যে আয়োজিত বিশ্ব সংগীত দিবস-২০২৪ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ রাজশাহী বিভাগের সহ-সভাপতি শরৎকুমার পাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিভাগের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয় হয়। এরপর উ্ত্তরীয় ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।শেষে মনজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :