অনলাইন ডেস্ক : আরাফাতের জাবালে রহমত, এই পাহাড়টিতে দাঁড়িয়েই বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছেন হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)।
মিনাতে অবস্থানের পর দলে দলে আরাফাতের ময়দানে যাচ্ছেন হজযাত্রীরা। গতকাল শুক্রবার (১৪ জুন) হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এদিন হজযাত্রীরা মিনায় রাত্রিযাপন করেন। এরপর সূর্যাস্তের পূর্বেই আরাফাতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা।
হজের নিয়ম অনুযায়ী জিলহজ মাসের ৯ তারিখে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হন হজযাত্রীরা। এরপর সেখানে অবস্থান করেন তারা।
এবার হজের খুতবা দেবেন শেখ মাহের। তিনি আরাফাতের মসজিদ আল নামিরাহ হাজিদের উদ্দেশ্যে কথা বলবেন তিনি। এছাড়া এই মসজিদ থেকে যোহর এবং আসরের নামাজের ইমামতিও করবেন তিনি।
এরপর সূর্যাস্তের পর হজযাত্রীরা মুজদালিফার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন এবং সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ পড়বেন। ওই সময় প্রতীকি শয়তানকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করার জন্য তারা নুড়ি পাথরও সংগ্রহ করবেন।
মুজদালিফায় হজযাত্রীরা খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করবেন। এরপর ফজর নামাজ পড়ে তারা আবারও চলে যাবেন তাঁবুর শহর মিনায়।
দুই পবিত্র মসজিদ বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ইনসাইড দ্য হারামাইন’ জানিয়েছে হজের খতিব শেখ মাহের ইতিমধ্যে আরাফাতের ময়দানে পৌঁছে গেছেন।
শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) যেভাবে হজ করে গেছেন এখনো ঠিক সেই একইভাবে হজ পালিত হয়ে থাকে। যদিও আগে হজ পালন কষ্টকর হলেও এখন প্রযুক্তির সহায়তায় তা অনেকটা সহজ হয়ে গেছে।
হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আরাফাতের ময়দান থেকে নিজের জীবনের শেষ ভাষণটি দিয়েছেন। ইসলামের আলোতে আলোকিত হয়ে কীভাবে জীবনযাপন করতে হবে সেসব দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন তিনি। এ কারণে আরাফাতের ময়দান মুসলিমদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান।
এদিকে এ বছর ২০ লাখের বেশি মানুষ হজ করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সৌদির সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার হজের প্রথম দিন মিনায় উপস্থিত হন ২০ লাখেরও বেশি হজযাত্রী। এরপর তারা সেখানে সারাদিন অবস্থান করেন।
আপনার মতামত লিখুন :