হেলাল উদ্দীন, বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পানবরজ ও আমসহ কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অতি তাপপ্রভাবের পর দেশব্যাপি রেমালের প্রভাবের অংশ হিসেবে গত রোববার রাত হতে মঙ্গলবার মধ্য রাত পর্যন্ত স্বস্তির বৃষ্টির সাথে ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলায় পানবরজ, কলাবাগন, পেঁপে, ভূট্রা গাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দুই দিন উপজেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় জনজীবনে বিপর্যয় দেখা দেয়। বিশেষ করে পানির পাম্প না চলায় বাড়ি বাড়ি পানির জন্য হাহাকার সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দুইদিন ব্যাপি ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২০ জন কৃষকের পানবরজ পড়ে গেছে। উড়তি পাকা ধান, ভূট্রার গাছ ও মরিজের গাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে। এতে করে কৃষি ক্ষেতে ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার পূর্ব দিকে মেঘের দাপটে আকর্ষ্মিকভাবে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে সোমবার দিবাগত রাতে ঝড়ের আঘাতে বালানগর, মোহম্মাদপুর, গোপালপুর, মাধাইমুড়ি সহ বিভিন্ন গ্রামের গাছ-পালাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বালানগর গ্রামের কৃষক অছির উদ্দিন জানান, ঝড়ে তার পানবরজ মাটিতে লুটে পড়েছে। পানবরজে পান ভাঙ্গা ছিল না। এতে করে তিনি ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির সন্মখীন হয়েছেন। গ্রামের হেলাল উদ্দিন ও বয়েন উদ্দিনসহ অনেকে জানান, ঘূর্ণিঝড়ে তাদের ভট্টার গাছ মাটির সাথে মিশে গেছে। এতে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একই ভাবে গ্রামের আব্দুল মান্নান, মোফাজ্জল হোসেন জানান, প্রচন্ড ঝড়ে তাদের আম বাগানের আম পড়ে গেছে। এবারে এমনিতেই আম কম ধরেছে, তার মধ্যে ঝড়ে পড়ে বাগান শুণ্য হয়ে পড়েছে। এবারে আম বিক্রি করতে পারবেন না তাতে খাবার সংকটই দেখা দিবে বলে দাবি করেছেন। এলাকায় দীর্ঘ সময়ে স্থায়ী এ ঘূর্ণিঝড়ে মৌসুমী ফসল ধান, মরিজ, পেঁপেগাছ সহ উড়তি ফসলের ক্ষতির সাথে দুই দিন বিদ্যুৎ না থাকায় উপজেলার অফিস আদালতে কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। অনেকে কাজ নিয়ে উপজেলায় আসলেও বিদ্যুতের কারণে কাজ করতে না পেরে বাড়ি ফিরেছেন। গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ সংকটে পাম্প না চলায় পানি সংকটে পড়ে। কেউ কেউ দুরবর্তি স্থান থেকে পানি সংগ্রহ করলেও অধিকাংশ পরিবারে পানি না পেয়ে বিপদে দিন কাটিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :