সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাঃ আসাদুজ্জামান আসাদ বলেছেন, মা হচ্ছে সন্তানের সব থেকে বড় শিক্ষক। রোববার দুপুরে মোহনপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে বিশ্ব মা দিবসে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। উপজেলা পরিষদ হল রুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আসাদ বলেন, শুধু সন্তান ধারন, জন্মদান ও প্রতিপালনই নয়। মা হচ্ছে সন্তানের সব থেকে বড় শিক্ষক। মায়ের সঙ্গে সন্তানের যে বন্ধন তার সঙ্গে পৃথিবীর আর কোনো কিছুর তুলনা হয় না। মাকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করাও ঠিক না। মা তো মা-ই। তিনি তুলনাহীন। সমাজে আমরা অনেকেই মেয়ে সন্তানের চেয়ে ছেলে সন্তানকে বেশী পছন্দ করি। কিন্তু ছেলে অথবা মেয়ে সব সন্তানই মায়ের কাছে সমান। সমান আদর যত্নে লালন পালনে বেড়ে ওঠে।
মা দিবসে পৃথিবীর সকল মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসাদ বলেন, সকল মা ভালো থাকুন। সকল মা সুস্থ থাকুন। মাকে যেন আমরা সবাই ভালোবাসি, তার মূল্য বুঝি। মাকে যেন কষ্ট না দেয়। মাকে ভালোবাসতে পারাটা সন্তানের জন্য পরম প্রাপ্তি। যারা মাকে ভালোবাসাতে পারল না, তারা জীবন থেকে বড় কিছু হারালো।
আসাদ বলেন, মা দিবসে একটি কথা জোর দিয়ে বলতে চাই। সেটা হলো, অনেক মা বৃদ্ধাশ্রমে আছেন। তা যেন না হয়। মা দিবসে আমার অনুরোধ, কোনো মাকে যেন বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে না হয়। একজন মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো মানে তার প্রতি অবিচার করা। মায়ের দোয়া ও ভালোবাসা সঙ্গে নিয়েই তিনি এতদূর এসেছেন। মা দিবসে বলতে চাই, মাকে সম্মান করুন, ভালোবাসুন। মা হারিয়ে গেলে এই সুযোগ পাবেন না। তখন আফসোস করবেন।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য কর্মকর্তা অহেদুজ্জামান, কৃষি কর্মকর্তা মোত্তাকিনা খাতুন, মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হরিদাস মন্ডল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান, বনিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বন্দনা সাহা। অনুষ্ঠানে মায়েদের সম্মাননা ক্রেস তুলে দেয়া হয়।
এদিকে রাজশাহীর পবায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে আয়োজনে বিশ্ব মা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় পারিলা ইউনিয়নের তরফ পারিলা গ্রামের স্বপ্নজয়ী মা হাসিনা বেগমকে মা দিবসে সংবর্ধনা উপহার ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
এদিন উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে সমাজকল্যান মন্ত্রনালয়ের আওতায় ৬টি জটিল রোগে আক্রান্ত ১৬জন রোগীর মাঝে প্রতিজনকে চিকিৎসা বাবদ ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৮ লক্ষ টাকার চেক বিতরণ করা হয়। রোববার উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাঃ আসাদুজ্জামান আসাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মকবুল হোসেন, উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা তাসনিম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা: সুব্রত কুমার সরকার, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শামসুন্নাহার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জাহিদ হাসান রাসেল।
পবায় কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ
“কৃষিই সমৃদ্ধি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজশাহীর পবা উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরিপ-১/২০২৪-২৫ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে পাট, উফশী আউশ ধান এবং গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বীজ ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিনামূল্যে বীজ সহায়তা এবং রাসায়নিক সার বিতরণের উদ্বোধন করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে প্রণোদনার বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের উদ্বোধন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাঃ আসাদুজ্জামান আসাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফারজানা তাসনিম, উপজেলা প্রকৌশলী মকবুল হোসেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা: সুব্রত কুমার সরকার, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা শামসুন্নাহার, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার তন্ময় কুমার সরকার।
এসময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। এসময় ১ হাজার ১৯০ জন কৃষককে এক বিঘা জমির জন্য এক কেজি পাট বীজ ও ১ হাজার ৫০০ জন কৃষকের মাঝে উফশী আউশ ধান বীজ ৫ কেজি ও ডিএপি সার ১০ কেজি এবং এমওপি সার ১০ কেজি বিতরণ করা হয়। এছাড়াও এসময় ৮৫০ জন কৃষককে গ্রীষ্মকালীন এক কেজি পেঁয়াজ বীজ, ডিএপি সার ২০ কেজি, এমওপি সার ২০ কেজি বিতরণ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :