[ad_1]
বৈশাখের শেষে হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল বঙ্গবাসী। শুধু বৃষ্টির জন্য নয়। বাজারে পাকা আমের দেখাও মিলছে এবারে। এই একটা কারণেই হয়তো গ্রীষ্মকালকেও সহ্য করে নেয় বাঙালি। কিন্তু আপনার যে ডায়াবেটিস রয়েছে। ওজন বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। এই অবস্থায় রোজ পাকা আম খাওয়া কি? অনেকেই শরীরের তোয়াক্কা না করেই দু’মাস জমিয়ে আম খেয়ে ফেলেন। কিন্তু প্রথম থেকে সচেতন থাকলে ডায়াবেটিস নিয়ে ভাবতে হবে না।
ডায়াবেটিসে সবসময় কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তার সঙ্গে যে সব খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বেশি, সেগুলো সুগার রোগীদের জন্য উপযোগী। আর এদিকে আমের গ্লাইসেমিক সূচক ৫১। তার উপর পাকা আমের মধ্যে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজের মতো শর্করা রয়েছে। পাকা আম খেলে সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, পরিমিত পরিমাণে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই।
সুগার বেড়ে যাওয়ার ভয়ের পাশাপাশি ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে পাকা আম খেলে। একটি মাঝারি সাইজের পাকা আমের মধ্যে প্রায় ১৫০ ক্যালোরি থাকে। আর ডায়াবেটিসের রোগীদের লো-ক্যালোরি খাবার খাওয়া উচিত। বুঝেশুনে পাকা আম না খেলে সুগারের পাশাপাশি ওজনও বেড়ে যেতে পারে।
সুগারের ভয়ে আম না খেলে আপনারই লস। শর্করার পাশাপাশি পাকা আমের মধ্যে একাধিক উপকারী উপাদান রয়েছে। আমের মধ্যে ভিটামিন এ, সি এবং ই রয়েছে। এসব উপাদানগুলো ক্যালশিয়াম মেটাবলিজমে সাহায্য করে, অস্টিওপোরসিসের ঝুঁকি ও হাড়ের ক্ষয়ের সম্ভাবনা কমায়। এছাড়াও কোলাজেন গঠনে, ইউভির রশ্মি হাত থেকে ক্ষয় প্রতিরোধে এবং ত্বক ও চোখের স্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করে পাকা আম। তাই সুগারের রোগীরা পাকা আম খেলে এসব উপকারিতাও পাবেন দেহে।
পাকা আমের মধ্যে ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে। তাই পাকা আম খেলেই যে সুগার ও ওজন বাড়বে, সেটাও সবসময় ভাবার দরকার নেই। বরং, এই ফলের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরকে নানা রোগের হাত থেকে বাঁচাবে। তাহলে কতটা পরিমাণে পাকা আম খাবেন এবং কীভাবে খাবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ডায়াবেটিসের রোগীরা যেভাবে পাকা আম খাবেন-
ডায়াবেটিসের রোগীরা দিনে একটা মাঝারি সাইজের পাকা আম খেতে পারেন। চেষ্টা করুন পাকা আম সকালের দিকে খেয়ে নেওয়ার। এতে হজমের জন্য অনেকটা সময় পেয়ে যাবেন। পাকা আম যখন খাবেন, তার সঙ্গে আর কী-কী খাচ্ছেন, সেটা দিকে নজর দেওয়া দরকার। যেহেতু আমের মধ্যে ক্যালোরি ও শর্করা রয়েছে, তাই এমন খাবার বেছে নিন যার মধ্যে এই দুই উপাদানের পরিমাণ কম। চেষ্টা করুন টক দইয়ের সঙ্গে পাকা আম খাওয়া। এছাড়া যে দিন পাকা আম খাবেন, সেদিন আর অন্য কোনও মিষ্টি বা নরম পানীয় খাওয়া চলবে না।
আপনার মতামত লিখুন :