আন্দোলনের পর ছুটি হলো সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ


editor প্রকাশের সময় : মার্চ ১০, ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ণ /
আন্দোলনের পর ছুটি হলো সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর অবশেষে ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। পূর্বে বেশ কয়েক দফা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল হয়। এদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি নিয়মানুযায়ী ছুটি রাখতে উত্তাল অবস্থা দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। রোজা রেখে রমজান মাসে ক্লাস, পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া কষ্টকর বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আবাসিক অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বিশৃঙ্খল অবস্থা উপলব্ধি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় উপশহর নিউ মার্কেট এলাকায় অবস্থিত সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা ছুটির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। ছুটি ঘোষনার পর বেলা দেড়টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আন্দোলনের একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রাজ্জাক শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানান। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দেশের অন্যান্য স্কুল ও কলেজের মতো তাদের পর্যাপ্ত ছুটি দেওয়া হয় না। বিশেষ করে রমজান মাসেও ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল, যা তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে চাপে ফেলছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা আগে আবেদন করেছিলাম, কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি।” অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, “শুধুমাত্র ১০% শিক্ষার্থী ছুটির দাবি করেছে, অথচ আমাদের তিনটি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রমজান মাসে ছুটি রাখা যেত, কিন্তু শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে আমরা অতিরিক্ত ক্লাস ও পরীক্ষা রেখেছিলাম। এখন অভিভাবকরা চাইলেও শিক্ষার্থীরা চাচ্ছে না, তাই আজ থেকে ছুটি ঘোষণা করা হলো।” শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করে, “কিছু শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে অশোভন ভাষা ব্যবহার করেন। গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে দক্ষ শিক্ষকের অভাব রয়েছে। অসুস্থ হলেও ক্লাসে আসতে বাধ্য করা হয়।” এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, “আমরা ত্রুটি রাখছি না, শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।” শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করে, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক ছিল এবং কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল আগে থেকেই তাদের কথা শোনা। আবার কেউ কেউ বলছেন, অতিরিক্ত ক্লাস ও পরীক্ষার গুরুত্বও বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন ছিল।