আদিবাসী গ্রাফিতি বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন চবি আদিবাসী শিক্ষার্থীদের


editor প্রকাশের সময় : জানুয়ারি ১৪, ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ণ /
আদিবাসী গ্রাফিতি বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন চবি আদিবাসী শিক্ষার্থীদের

নুরুল আফছার, স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক থেকে আদিবাসী গ্রাফিতি বাতিলের প্রতিবাদে এক মানববন্ধন আয়োজন করেছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুদীপ্ত চাকমা এবং সঞ্চালনা করেন সুভাষ চাকমা।

বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক অন্বেষ চাকমা, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সভাপতি উসাচিং মারমা, ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি বিলাস ত্রিপুরা। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাইনুমং মারমা।

অন্বেষ চাকমা বলেন, “উগ্র মৌলবাদী সেটেলারদের আপত্তিতে এনসিটিবি কর্তৃক আদিবাসী শব্দ বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই গ্রাফিতির বিরুদ্ধে যারা কথা বলে মিথ্যাচার করে তারা আসলে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনাকে ধারণ করে না। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এসেও আমাদের ভূমি অধিকারের দাবি নিয়ে কথা বলতে হয়। পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং আদিবাসী শব্দ পুনর্বহালের দাবি জানাই।”

উসাচিং মারমা বলেন, “আমরা আদিবাসীরা এদেশের নাগরিক। আমাদের বাদ দিয়ে রাষ্ট্র পরিপূর্ণ হতে পারে না। এনসিটিবি কর্তৃক পাঠ্যপুস্তক থেকে আদিবাসী গ্রাফিতি বাতিলের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা বিচ্ছিন্নতাবাদী নই বরং সম্পৃক্ততাবাদী। আমরা একটি সুষ্ঠু ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাই।”

বিলাস ত্রিপুরা বলেন, “আদিবাসী শব্দকে এত ভয় কেন? পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীরাও এদেশের নাগরিক। গুটিকয়েক সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর আপত্তিতে আদিবাসী গ্রাফিতি বাতিল একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের পরিচায়ক হতে পারে না। আমাদের দাবি, আদিবাসী গ্রাফিতি পুনর্বহাল করে সম্পৃক্ত রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠন করা হোক।”

সাইনুমং মারমা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামে উগ্র সাম্প্রদায়িক মনোভাব পোষণকারী সেটেলারদের আপত্তিতে পাঠ্যপুস্তক থেকে আদিবাসী শব্দ বাতিলের জন্য তীব্র নিন্দা জানাই। নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে বাতিলকৃত আদিবাসী প্রচ্ছদ পুনর্বহাল করার দাবি জানাই।”

সভাপতির বক্তব্যে সুদীপ্ত চাকমা বলেন, “অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় ছিল তা আজ পুরোপুরি ব্যর্থ। পার্বত্য চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়ন এবং পাঠ্যবইয়ে আদিবাসী শব্দ পুনর্বহাল করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের অধিকারকে সম্পৃক্ত করে রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানাই।”