বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাত ৮ টার দিকে ঈশ্বরদী-বাঘা সড়কের লালপুর ত্রি-মোহনী চত্বর এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন এই সংসদ সদস্য।
জানা যায়, উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন থেকে ফেরার পথে লালপুর ত্রি-মোহনী চত্বরে আসলে দীর্ঘ এক কিলোমিটার যানজট দেখতে পান। এসময় অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে রাস্তায় নেমে গিয়ে ট্রাফিক পুুিলশের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি। মাঝে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে এক লেনে গাড়ি চলতে নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনা মেনে গাড়ি চলাচল শুরু হলে প্রায় ১৫ মিনিটের চেষ্টায় কমতে থাকে যানজট।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মেহেরাবুল ইসলাম ও মাসুম বিল্লাহ বলেন, ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় কোনো নিয়ম মানছিলেন না চালকরা। এতে দীর্ঘ এক কিলোমিটার যানজট লেগে যায়। এমপি মহোদয় ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা অবতীর্ণ হয়ে যানজট নিরসন করেন। সবাইকে স্বস্তিতে ঘরে ফিরতে সহযোগিতা করেন।
যানজট নিরসনে এমপির সড়কে নামা ইতিবাচক বলে মনে করেন লালপুর উপজেলা নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল মোত্তালেব রায়হান। তিনি বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য এমপি মহোদয়ের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এটা আমাদের জন্য উৎসাহ। তিনি এভাবে মাঠে নেমে ট্রাফিকের ভূমিকা রাখায় ঘরে ফেরা মানুষ দ্রুত ফিরতে পেরেছে।
এবিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, ইদুল আজহায় সড়কে বাড়ি ফেরা, ইদের বাজার করতে আসা মানুষ ও গরুবহনকারী ট্রাকের চাপ রয়েছে। এতে সৃষ্ট যানজট নিরসনে এমপি মহোদয় যে ভূমিকা রাখলেন তা সত্যিই এক মহতি উদ্যোগ। আশা করি আগামীতে এমন যানজট সৃষ্টি হবে না। এবিষয়ে পুলিশ তৎপর থাকবে।
এবিষয়ে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপড়া) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি দলীয় কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে এক কিলোমিটার যানজট পাই।
পরে রাস্তায় নেমে যানজট নিরসনের চেষ্টা করি। কিছুক্ষণের মধ্যে যানজট নিরসন করা সম্ভব হয়। তবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে যত্রতত্র ভাবে যানবাহন পার্কিং না করলে ও যানবাহনের চালকদের সচেতন করলে, সড়ক আইন মেনে চললে যানজট সৃষ্টি হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :