স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর তানোর উপজেলায় অবস্থিত তালন্দ আনন্দ মোহন উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুলটিতে দেশের প্রথম বীজ লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ স্কুলের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত দেশি বীজ ও পরিবেশ শিক্ষা নিয়ে বক্তৃতামালা, রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। কখনও কখনও বীজ লাইব্রেরি কেন্দ্রিক অনুষ্ঠানে আশেপাশের অন্য স্কুলের শিক্ষার্থীরাও গিয়ে যুক্ত হন। তারা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেশি জাতের বীজের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার শপথ নিয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে বীজ লাইব্রেরি ও বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) যৌথ আয়োজনে বীজে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শিক্ষার্থীদের বীজ বিনিময় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। একই সঙ্গে শতাধিক শিক্ষার্থীর সামনে বীজ বিছিয়ে রেখে তাদের বীজ রক্ষার জন্য শপথ করানো হয়। দেশি বীজ সুরক্ষা করতে নতুন প্রজন্মকে সচেতন করতে দেশি বীজের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত কৃষক ও স্ব-শিক্ষিত কৃষি বিজ্ঞানী নূর মোহাম্মদ।
তিনি বলেন, আমরা সবাই বীজ সম্পর্কে জানি। বীজ হচ্ছে কৃষির মূল চালিকা শক্তি। ভালো বীজ না হলে ভালো ফসল আশা করা যায় না। বীজ অনেক প্রকার হয় দেশি, উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড। এর মধ্য হাইব্রিড বীজ একবার চাষ করলে পরের বছর আর ওখান থেকে বীজ রাখা যায় না। কৃষকদের তাই বার বার বাজার থেকে বীজ কিনতে হয়। এতে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েন। দেখা যায় অনেক সময় ফসল বিক্রয় করেও এক কেজি হাইব্রিড বীজ পাওয়া যায় না। কৃষকরা হারিয়ে ফেলেন বীজের স্বাধীনতা।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি অতীতে সব ফসলের বীজ কৃষকের বাড়িতে থাকত। কিন্তু এখন আর এটা দেখা যায় না। দেশি বীজ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখান থেকে প্রতিবারই বীজ রাখা যায়। এ ফসলের স্বাদ ও গুণ অনেক ভালো হয়। দেশি বীজ সম্পর্কে তোমাদের জানতে হবে। এ বীজ রক্ষায় তোমাদের সচেতন হতে হবে। দেশি বীজ তোমাদের চিনতে হবে। তোমরাই পারবে আগামীতে দেশি বীজ রক্ষা করতে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বারসিক এর প্রোগ্রাম অফিসার অমৃত কুমার সরকার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহযোগী প্রোগ্রাম অফিসার তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :