ইসরায়েলের পাশে থাকার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের


editor প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২, ২০২৪, ৬:১৩ অপরাহ্ণ /
ইসরায়েলের পাশে থাকার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

অনলাইন ডেস্ক : ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এক রাতে ১৮১টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ায় ইরানের প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, যদি সত্যিই ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের যুদ্ধ বেঁধে যায়, তাহলে ইসরায়েলের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার রাতের হামলার পর বুধবার সকালে এক বিবৃতিতে লয়েড অস্টিন বলেন, “আমরা ইরানের এই ভয়াবহ আগ্রাসী হামলার নিন্দা জানাচ্ছি এবং ইরান এবং তার সমর্থনপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে ইসরায়েলে আর কোনো হামলা চালানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”

“সেই সঙ্গে স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের সেনাঘাঁটি, ইসরায়েল এবং ওই অঞ্চলে আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের লক্ষ্য করে যদি পরবর্তীতে কোনো ধরনের হামলা চালানো হয়, তাহলে আমরা ইসরায়েল ও আমাদের মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদের পাশে থাকব এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী সেই হামলার সমুচিত জবাব দেবে।”

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতজুড়ে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৮১টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরানের সেনাবাহিনীর এলিট শাখা ইরান রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই অবশ্য লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ডের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের ৩টি সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে মঙ্গলবার রাতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে আইআরজিসি। ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিজে এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি এক বার্তায় জানিয়েছেন, “ইরানের হামলার জবাব দেওয়া হবে। আমাদের পরিকল্পনা প্রস্তুত আছে, ঠিক সময়ে সেটির বাস্তবায়ন করা হবে।”

আইআরজিসির এক কর্মকর্তা ইরানের ফার্স নিউজ এজেন্সিকে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযানের প্রতিবাদে এই অপারেশন চালানো হয়েছে। জায়নবাদী গোষ্ঠী যদি ইরানের অপারেশনের প্রতিক্রিয়া জানানোর চেষ্টা করে, তাহলে আমাদের পরবর্তী হামলা আরও বিধ্বংসী হবে।”

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দুই চিরবৈরী দেশের পরস্পরের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব ওই অঞ্চলে অচিরেই যুদ্ধের আশঙ্কাকে উসকে দেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল বারনিয়ার এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানেলিনা বেয়ারবক।