আসলাম আলী রিপোর্টার, বাঘা: রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। শুক্রবার ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারে পর শনিবার সকালে তাঁকে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার দুপুরে তাঁকে রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এতথ্য জানা গেছে।
জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক রুহুল আমিন জানান, আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল হত্যা মামলাটি তদন্ত করছেন বাঘা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শোয়েব খান। এই মামলার প্রধান আসামি মেয়র আক্কাছ আলীকে শনিবার আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে এই হত্যা মামলায় আগে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করায় মামলার নথি সেখানে রয়েছে। আসামিদের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে নথি সংশ্লিষ্ট আদালতে ফেরত এলে তখন মেয়র আক্কাছ আলীর রিমান্ড শুনানি হবে।
গত ২২ জুন বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর দুর্নীতি অনিয়মের প্রতিবাদে চলা মানববন্ধন কর্মসূচিতে হামলা হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল গুরুতর আহত হন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৬ জুন বিকেলে মারা যান আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল।
বাঘা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে মেয়র আক্কাছকে প্রধান করে ৩২ জনের নামসহ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে বাঘা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেয়র আক্কাছ ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। শুক্রবার ভোরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মতিঝিল এলাকা থেকে আক্কাছ ও তার অপর চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেন। পরে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে আসামিদের হস্তান্তর করা হয়। ঢাকায় আক্কাস আলীর সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া অপর চার সহযোগী আসামি মজনু, টুটুল, আব্দুর রহমান মহুরি ও স্বপনকে শনিবার আদালতে হাজির করা হয়নি। আজ রোববার তাদেরকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, বাবুল হত্যা মামলায় প্রধান আসামি আক্কাছ আলীসহ এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :